আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি ‘হস্তক্ষেপের’ নিন্দা জানালেন এরদোয়ান

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি ‘হস্তক্ষেপের’ নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। একই সঙ্গে পবিত্র এই মসজিদের ‘মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের’ প্রতি হুমকিরও নিন্দা জানান তিনি। রবিবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টায় রয়েছে তুরস্ক ও ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইসরায়েলি পদক্ষেপের নিন্দা জানালেন এরদোয়ান।

গত শুক্রবার আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয় দেড় শতাধিক মুসল্লি। আহত বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি নাগরিক রাবার বুলেট, স্টান গ্রেনেড ও পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন।

রবিবার এক টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান জানান, তিনি ফোনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের আলাপের সময়,  আব্বাসকে বলেছি যে, আমি আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানাই এবং এর মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের ওপর হুমকি ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াবো।’ ‘তুরস্ক সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে,’ বলেন তিনি।

এরদোয়ান পরে জানান, তিনি আল-আকসা মসজিদের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে এরদোয়ান বলেছেন, ইসরায়েলি ‘হস্তক্ষেপ এবং উসকানির’ ফলাফল ‘অগ্রহণযোগ্য’। আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে যৌথ উদ্যোগের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা।

আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বি তুরস্ক ও ইসরায়েল ২০১৮ সালে পরস্পরের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার করে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সমর্থন রাখে তুরস্ক। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি প্রতিশ্রুতি বাদ দেবে না আঙ্কারা।

গত মাসে আঙ্কারা সফর করেন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইস্যাক হেরজোগ। এই মাসে এক টেলিফোন আলাপে এরদোয়ান তাকে বলেন, আঙ্কারা আশা করে রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদের বিষয়ে সংবেদনশীল থাকবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: রয়টার্স