যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত বিমান হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩১ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ২৬৫ জন। তবে সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা থেকে একটি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা। 

রবিবার (৭ আগস্ট) গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে বিমান হামলা ইসলামিক জিহাদের সিনিয়র নেতা খালেদ মনসুরকে হত্যা করে ইসরায়েল। এর আগে তাকে পাঁচ বার হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হলেও তিনি বেঁচে যান। আগের দিন শুক্রবার বিমান হামলা চালিয়ে ইসলামিক জিহাদের আরেক শীর্ষ কমান্ডার তাইসির জাবারিকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী।

আল জাজিরার প্রতিবেদক ইয়ামনা এলসাইদ জানান, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি বাহিনী যেসব হামলা চালিয়ে আসছে, তার মধ্যে জাবালিয়া এলাকার এই হামলা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। তিনি বলেন, ‘শনিবার সরাসরি বেসামরিক লোকজন এবং তাদের বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা করেছে ইসরায়েল।’

চলমান উত্তেজনা বন্ধে ‘সব পক্ষকে’ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সংস্থাটির পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফের বোরেলের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গাজা এবং আশপাশের ঘটনায় নিয়ে ইইউ গভীর উদ্বিগ্ন। ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিজ দেশের বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। কিন্তু বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে হবে।

মিসরের একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কায়রোর মধ্যস্থতায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।

ইসলামিক জিহাদ কিংবা ইসরায়েলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। তবে দুই পক্ষই কায়রোর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।