ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ মাত্রার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করবে তুরস্ক

ইসরায়েলের সঙ্গে ফের পূর্ণ মাত্রার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে তুরস্ক। বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। সম্পর্কের ক্রমান্বয়ে উন্নতির পর রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ব্যাপারেও একমত হয়েছে আঙ্কারা ও তেল আবিব। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের সঙ্গে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। পরে ইয়ার ল্যাপিডের দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্পর্কের উন্নতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করা, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে আরও জোরালো করতে অবদান রাখবে।’

আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে একটি পদক্ষেপ ছিল রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া। ইসরায়েলের তরফে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তুরস্কও তেল আবিবে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এর অর্থ এটা নয় যে, তুরস্ক ফিলিস্তিন ইস্যু পরিত্যাগ করবে।

২০১৮ সালে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস চালুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ফিলিস্তিনিরা। ওই সময়ে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভরত ৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আঙ্কারা। এক পর্যায়ে দুই দেশ পরস্পরের রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

২০২২ সালের মার্চে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ তুরস্ক সফর করেন। তার এই সফর ফিলিস্তিনি ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের ১০ বছরেরও বেশি সময়ের উত্তেজনা হ্রাসে সহায়ক হয়।