সিরিয়ার সঙ্গে আলোচনার কোনও পূর্বশর্ত নেই: তুরস্ক

সিরিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য তুরস্কের কোনও পূর্বশর্ত নেই বলে জানিয়েছে তুরস্ক। তবে এই আলোচনা লক্ষ্যভিত্তিক হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। মঙ্গলবার এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে দামেস্কের প্রতি আঙ্কারার মনোভাব নরম হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদকে উৎখাত করতে চাওয়া বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সমর্থন দিয়ে আসছে তুরস্ক। সিরিয়ায় চলা ১১ বছরের গৃহযুদ্ধের প্রথম দিকে দামেস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে আঙ্কারা।

কিন্তু রাশিয়ার হস্তক্ষেপে আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের একটি পকেটে আটকে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এই মাসের শুরুতে রাশিয়ায় আলোচনার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, তুরস্ককে তাদের যৌথ সীমান্তে সহিংসতা মোকাবিলায় সিরিয়া সরকারকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এরদোয়ান সতর্ক করে জানান, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সিরীয় কুর্দি যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে আরেক দফা সামরিক অভিযান চালাতে পারে তুরস্ক। এই অভিযানের লক্ষ্য হবে সেফ জোনের আওতা বাড়িয়ে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।

এমন প্রেক্ষাপটে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, ‘সংলাপের জন্য শর্ত থাকতে পারে না, কিন্তু এই যোগাযোগের উদ্দেশ্য কী? দেশটিকে সন্ত্রাসীদের থেকে মুক্ত করতে হবে... জনগণকে নিজ দেশে ফিরতে সক্ষম করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সংলাপের কোনও শর্ত হয় না কিন্তু লক্ষ্য কি? এটা লক্ষ্যভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন।’

দামেস্কের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে গত সপ্তাহে এরদোয়ান বলেন, রাষ্ট্রের মধ্যকার কূটনৈতিক যোগাযোগ কখনোই সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করা যায় না। সিরিয়ায় আরও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স