‘প্রয়োজনে’ শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে প্রস্তুত তুরস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, প্রয়োজন হলে সিরিয়ার হাজার হাজার শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে। শনিবার সেনেগাল থেকে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেন, ‘সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর একটি অংশ অবরুদ্ধ করে  রেখেছে। তুরস্ক এখন হুমকির মুখে রয়েছে।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারা যদি আমাদের দরজায় এসে পৌঁছায় এবং তাদের আর কোনও উপায় না থাকে তাহলে প্রয়োজনে আমাদের ভাইদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হবে।’
গত কয়েকদিন সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে যে তীব্র লড়াই শুরু হয় তারপর থেকেই সেখান থেকে লোকজন পালাতে শুরু করে। শরণার্থীদের বোঝা সামলাতে তুরস্ক এখনই হিমসিম খাচ্ছে, এর মধ্যে নতুন করে আসা শরণার্থীদের স্রোত তুরস্কের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। গত ৪৮ ঘন্টায় ৩৫ হাজার সিরিয়ান শরণার্থী সেখানে জড়ো হয়েছে। ইইউ নেতারা  তুরস্ককে সীমান্তের ফটক খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তুরস্কের সীমান্তবর্তী প্রদেশ কিলিসের গভর্নর সুলেইমান তাপসিজ বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় সীমান্ত এলাকায় আসা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার শরণার্থীকে সেবা করছে তুরস্ক। ইতোমধ্যে দেশটিতে ২০ থেকে ২৫ লাখ সিরীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি বলেন, আলেপ্পোতে রাশিয়ার বিমান হামলা ও সিরিয়া সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকলে আরও ৭০ হাজার শরণার্থী সীমান্ত এলাকায় আসতে পারেন।

এএফপি’র এক সংবাদদাতা জানান, তুরস্কের অনকুপিয়ার সীমান্ত ক্রসিং এলাকায় তৃতীয় দিনের মত হাজার হাজার শরণার্থী জড়ো হয়েছে। তবে সীমান্ত এখনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

তুরস্কের এক কর্মকর্তা বলেন, শুধু জরুরি পরিস্থিতিতে সীমান্ত খোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, শুক্রবার আহত সাতজনকে তুরস্কে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা।

/এএ/