গাজায় ইসরায়েলের বোমার আঘাতে বৃহস্পতিবার সারা দিনে ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়-বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ-ফিলিস্তিন) এ তথ্য জানিয়েছে। ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিনির সংঘাতের ১৩তম দিন শুক্রবার (২০ অক্টোবর) কাতারভিত্তিকি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ওসিএইচএ-ফিলিস্তিন-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলি বোমা হামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৭৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার ৫২৪ জন শিশু এবং এক হাজার নারী আছেন। আর ঘর হারা হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
গাজায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ ইসরায়েলি হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছে।
ওসিএইচএ-ফিলিস্তিন বলেছে, ১৫ অক্টোবর একটি গণকবরে প্রায় ১০০টি অজ্ঞাত লাশ দাফন করা হয়েছে। কারণ লাশগুলো সংরক্ষণ করার মতো ব্যবস্থা ছিল না।
গাজার আবাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার প্রায় ৩০ শতাংশ আবাসন ধ্বংস হয়েছে। ১২ হাজার ৮৪৫টি বাড়ি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। ৯ হাজার ৫৫টি বাড়ি বসবাসের অযোগ্য। আর হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার বাড়ি।
প্রতিবেদন অনুসারে, বোমা হামলায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ জাতিসংঘ-নির্ধারিত ১৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১২ হাজার ৫০০ মানুষের বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে নোংরা পানি ব্যবহার করছে গাজা বাসিন্দারা। এত তারা মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
গাজায় কমপক্ষে ২০৩ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নিহত হয়েছেন৷