গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও হাজারো ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে না ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি থাকা হাজারো ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে না ইসরায়েল। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিনেই ডেভিড মিলিটারি একাডেমিতে দেওয়া ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।

হামাসের সঙ্গে সম্ভাব্য জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের একটি সমঝোতার রূপরেখা চূড়ান্ত হওয়ার পথে রয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, কাতার ও মিসরের প্রতিনিধিরা বৈঠকের পর হামাসের কাছে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। হামাস তা পর্যালোচনা করছে এবং গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে কায়রো সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হাজারো সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেবে না ইসরায়েল এবং গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে না।

সোমবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, প্রত্যেক জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে কয়েক শ’ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার ফ্রেমওয়ার্কের ওপর জোর দিচ্ছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহুর কার্যালয় এমন সম্ভাব্য সমঝোতার এমন প্রতিবেদনকে একেবারে অস্বীকার করেনি। তবে বলেছে, প্রতিবেদনের কিছু অংশ সঠিক নয়।

ভাষণে নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে চলমান আরেকটি পর্ব নয়, আরেকটি গোলা বিনিময় নয়, কিংবা আরেকটি অভিযান নয়। ইসরায়েল পরিপূর্ণ জয়ের ওপর জোর দিচ্ছে।

ভাষণে নেতানিয়াহু বলেছেন, সম্পূর্ণ বিজয় ছাড়া কিছু গ্রহণযোগ্য হবে না। আমি এটি অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ, আমাদের সেনারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণও তা চান। সম্পূর্ণ বিজয় ছাড়া কিছুতে আমরা থামব না।

সম্ভাব্য সমঝোতার খবরকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, সব লক্ষ্য অর্জিত না হলে আমরা এই যুদ্ধ বন্ধ করব না। আমাদের লক্ষ্য হলো হামাসকে নির্মূল, সব জিম্মির মুক্তি এবং নিশ্চিত করা যাতে গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয়।

তিনি আরও বলেছেন, গাজা উপত্যকা থেকে আমরা ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করব না এবং হাজারো সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেব না। তেমন কিছু ঘটবে না। কী ঘটবে? চূড়ান্ত বিজয়।