হামাসের বিরুদ্ধে  ত্রাণ ‘চুরির’ অভিযোগের প্রমাণ নেই: মার্কিন দূত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সহায়তা ‘চুরির’ অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি ইসরায়েল। বরং তাদের হত্যাযজ্ঞ ও সহায়তা বিরোধিতার কারণেই গাজায় ত্রাণ বিতরণ ব্যাহত হচ্ছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনা করে এ মন্তব্য করেন মধ্যপ্রাচ্যের মানবিক বিষয়ক মার্কিন দূত ডেভিড স্যাটারফিল্ড। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

ডেভিড স্যাটারফিল্ড বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সহায়তার ‘বিমুখতা বা চুরির’ সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেননি ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, মূলত গাজায় সাহায্য প্রবেশের বিরোধিতাকারী ও ইসরায়েলি বিক্ষোভের জন্যই সহায়তা বিতরণকে বাধাগ্রস্ত করছে।

শুক্রবার স্থানীয় ক্রসিং কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ওয়ায়েল আবু ওমর বলেন, রাফাহ ক্রসিং থেকে আসার সময় একটি ত্রাণবাহী ট্রাকের দিকে আসেন বিক্ষোভকারীরা। সেসময় পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হন।

স্যাটারফিল্ড কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসকে বলেন, ইসরায়েলি সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছি। এখানে সবাই চান সহায়তা অব্যাহত থাকুক। সেই কাজ স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গাজায় চলমান সাহায্য সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম আসে। তাছাড়া গাজার প্রায় অর্ধেক মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ সীমান্তে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানেও অবিরত বিমান হামলা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৮ হাজার ৮৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৬৬৭ জন। আপরদিকে, হামসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।