ইসরায়েলি হামলায় ধুলোয় মিশে গেলো দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেট

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেট। সোমবার (১ এপ্রিল) ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে সিরীয় ও ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করতে পারে ইরান ও দেশটির মিত্ররা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

লেবাননের একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদি রয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে দাবি করা হয়েছে, বেশ কয়েকজন ইরানি কূটনীতিক নিহত হয়েছেন।

দামেস্কের মেজ্জেহ জেলার ঘটনাস্থল থেকে রয়টার্সের রিপোর্টার জানিয়েছেন, একেবারে গুঁড়িয়ে যাওয়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। ধ্বংসস্তূপের সামনে একটি খুঁটিতে ইরানের পতাকা উড়ছিল। ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন ইরান ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ছয় মাস ধরে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল একাধিকবার সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। সোমবারের হামলার পরও বরাবরের মতো তা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, বিদেশি সংবাদমাধ্যমের খবরের বিষয়ে আমরা মন্তব্য করি না।

ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানার খবরে অজ্ঞাত সংখ্যক নিহত ও আহতের কথা বলা হয়েছে।

৭ অক্টোবর ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা শুরু করেছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে সিরিয়ায় লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর বিরুদ্ধেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এই গোষ্ঠীগুলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের সমর্থক।