ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করার দাবি ইরানের

ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে নোটিশ দিয়েছিল ইরান। রবিবার (১৪ এপ্রিল) এ কথা জানিয়েছেন তুরস্ক, জর্ডান ও ইরাকি কর্মকর্তারা। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করার বিষয়টি অস্কীকার করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, প্রতিবেশী একাধিক দেশ ও ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ৭২ ঘণ্টা আগেই নোটিশ দিয়ে হামলা চালানোর কথা জানানো হয়েছিল।  

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার আগে তারা ওয়াশিংটন ও তেহরান দুপক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছিল।

তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গিকার করেছিল ইরান।

তাই ইরানের সম্ভাব্য এই প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে তুরস্ক অবগত ছিল বলে জানানো হয়েছে। ফলে ইরানের হামলার বিষয়টি অবাক করার মতো কিছু ছিল না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অবশ্য ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন সুইস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু হামলার ৭২ ঘণ্টা আগে তারা কোনো নোটিশ পায়নি।

হামলার আগাম নোটিশ সম্পর্কে ইরানের বক্তব্য প্রসঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এটি একেবারেই সত্য নয়। তারা কোনো নোটিশ দেয়নি। কোন কোন স্থানগুলোতে হামলা চালানো হবে তা তারা বলেনি। এমনকি ওইসব স্থান থেকে বেসামরিক লোকজন সরিয়ে দেওয়ার কথাও জানায়নি।

তাদের দাবি, হামলা শুরুর পরই যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল ইরান। ইরানের এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার রাতভর ইসরায়েলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।