প্রথমবারের মতো স্বর্ণকে ছাড়িয়ে গেলো বিটকয়েনের মূল্য

_94917961_mediaitem93106609প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ক্রিপ্টো কারেন্সি (মুদ্রা) বিটকয়েনের মূল্য এক আউন্স স্বর্ণের দামকে ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার একটি বিটকয়েন মুদ্রার মূল্য ছিল ১ হাজার ২৬৮ ডলার আর এক আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ২৩৩ ডলার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

চীনে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে  বিটকয়েনের মূল্য বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনা কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে জানিয়েছে, বিটকয়েনের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। এ বছরের শুরুতে চীনা কর্তৃপক্ষ বিটকয়েন ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিল।

২০১৪ সালে বিটকয়েনের দরপতনের পর গত মাসে মূল্য বাড়তে শুরু করে।

২০০৯ সালে চালুর পর থেকেই বিটকয়েনের মূল্যে উঠানামা অব্যাহত রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞই আশঙ্কা করছিলেন, এই ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা বেশিদিন টিকবে না।

চীনে বিটকয়েন ব্যবহারে নজরদারি বৃদ্ধির ফলে ডিজিটাল মুদ্রাটির দরপতন শুরু হয়েছিল। তবে গত মাসে বিটকয়েনের মূল্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।

বিটকয়েনকে নতুন ধরনের মুদ্রা ব্যবস্থা হিসেবে মনে করা হয়। অন্যান্য মুদ্রার মতোই বিটকয়েনের মূল্যও চাহিদার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। বিটকয়েন বিনিময়ের জন্য জটিল কম্পিউটার ধাঁধা সমাধান করতে হয়। এ প্রক্রিয়াকে মাইনিং হিসেবে বলা হয়ে থাকে। প্রতিটি জটিল ধাঁধা সমাধানের জন্য একটি করে বিটকয়েন দেওয়া হয়।  

বর্তমানে প্রায় ১৫ মিলিয়ন বিটকয়েন রয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে। বিটকয়েন পেতে হলে একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে অবশ্যই বিটকয়েন ঠিকানা থাকতে হয়, যা ২৭-৩৪টি বর্ণ ও নম্বারের একটি স্ট্রিং।  এটা ভার্চুয়াল পোস্ট বক্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়।  এই ঠিকানায় বিটকয়েন পাঠানো হয়।

এসব ঠিকানার কোনও নিবন্ধক না থাকায় কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখেই অনলাইনে লেনদেন করতে পারেন। এসব ঠিকানা বিটকয়েন ওয়ালেটে সংরক্ষিত থাকে। যেখান থেকে সংরক্ষিত বিটকয়েন ব্যবহার করা যায়। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/