হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া

আর্কটিকে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিঞ্জালের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। দুটি সামরিক সূত্রকে উদ্ধৃত রুশ বার্তা সংস্থা টাস জানিয়েছে, আর্কটিকের রাশিয়া অংশে নভেম্বরের শুরুতে এই পরীক্ষা চালানো হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

HGV1500



উত্তর মেরুতে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কতার একদিন পর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর প্রকাশিত হলো। ডেনিশ গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, চীনের সেনাবাহিনী আর্কটিকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বাড়িয়েছে।

কিঞ্জাল হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে তাস’র খবরে বলা হয়েছে, মধ্য নভেম্বরে এই পরীক্ষা চালানো হয়। মিগ-৩১ কে ইন্টারসেপ্টর বিমানে করে ওলেনগর্স্ক বিমান ঘাঁটি থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নেওয়া হয়। আর্কটিকের রাশিয়া অংশের কিমি এলাকায় পেম্বই প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে একটি ভূমিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র।
রুশ বার্তা সংস্থার খবরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিঞ্জাল ক্ষেপণাস্ত্রের অস্তিত্বের কথা জানান দেন। তিনি এই ক্ষেপণাস্ত্রকে অপ্রতিরোধ্য উল্লেখ করে বর্ণনা দেন কীভাবে তা শত্রুর প্রতিরক্ষা গুঁড়িয়ে দিতে পারে।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, ২ হাজার কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে কিঞ্জাল। এতে পারমাণবিক বা প্রচলিত ওয়ারহেড যুক্ত করা যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক জেলায় ইতোমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।