করোনার টিকা নিয়েছেন পুতিন: ক্রেমলিন

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে পুতিন কোন টিকা গ্রহণ করেছেন সেটি জানানো হয়নি। এ বিষয়ে ক্রেমলিনের লুকোচুরি ছিল লক্ষ্যণীয়।

রাশিয়া এ পর্যন্ত তিন রকমের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উদ্ভাবন করেছে। কিন্তু দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে না।

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার দাবির মাধ্যমে পুতিন বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার কাতারে এসে দাঁড়ালেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস, যুক্তরাজ্যের রাণি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অনেক বিশ্বনেতা করোনার টিকা নিয়েছেন।

বিশ্বনেতাদের অনেকেই প্রকাশ্যে টিকা নিলেও ৬৮ বছরের পুতিনের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। তার টিকা নেওয়ার ঘটনা ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। এমনকি তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কোন টিকা নিয়েছেন সেটিও জানানো হয়নি।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে রশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট সুস্থ আছেন। বুধবার তার পূর্ণ দিবস অফিস রয়েছে।

পেসকভ আগেই জানিয়েছিলেন, ‘গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে পুতিন টিকা নিতে ইচ্ছুক নন। ফলে সাংবাদিকদেরকে আমাদের কথা গ্রহণ করতে হবে।’

রাশিয়াজুড়ে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হলেও পুতিন টিকা নেওয়ায় এতোদিন ধরে তার সমালোচনা করে আসছিলেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, এতে করে ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মনে আগে থেকে থাকা সংশয় আরও বাড়ছে। এখন প্রকাশ্যে টিকা না নেওয়ায় তার ভ্যাকসিন গ্রহণের দাবিও মানতে চাইছেন না অনেকে।

রাশিয়াতে এখন পর্যন্ত তিনটি ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ টিকা নিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের হারের চেয়ে এটি অনেক কম।

পুতিনের দাবি, রাশিয়ার ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ। রুশ বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের জন্য এটি দারুণ সাফল্য।