মুসলিম অভিবাসীদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে ইউরোপীয়রা: জরিপ

hungary-migrantsঅধিকাংশ ইউরোপীয় নাগরিক অভিবাসন ও শরণার্থীদের আগমন ঠেকাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষেধাজ্ঞার মতো নিষেধাজ্ঞার পক্ষে মত দিয়েছেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া দশটি দেশের ইউরোপের নাগরিকদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই মনে করেন, প্রধানত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর অভিবাসীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার এ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। জরিপটি পরিচালনা করেছেন রয়্যাল ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স।

‘হোয়াট ডু ইউরোপীয়ান থিংক অ্যাবাউট মুসলিম ইমিগ্রেশন’- শিরোনামের জরিপ প্রতিবেদনটি তৈরিকারী বলেন, আমাদের জরিপের ফল বিস্ময়কর ও গুরুতর। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন, মুসলিম দেশের অভিবাসীদের নিষেধাজ্ঞা শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয় অন্যত্রও জারি করা উচিত।

এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছিল সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ দেওয়ার আগেই। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দশ হাজার উত্তরদাতা বলেছেন, ‘এখন থেকে মুসলিম দেশ থেকে অভিবাসীদের আসা বন্ধ করা উচিত’।

জরিপের প্রশ্নটি ছিল, তারা এটাকে সমর্থন করেন কি না। জরিপে অংশ নেওয়া দশটি ইউরোপীয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে মত দিয়েছেন। ২৫ শতাংশ মত দেননি আর ২০ শতাংশ নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে মত দিয়েছেন।

দশটির দেশের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে পোল্যান্ডে ৭১ শতাংশ, অস্ট্রিয়াতে ৬৫ শতাংশ, জার্মানিতে ৫৩ শতাংশ, ইতালিতে ৫১ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৪৭ শতাংশ এবং স্পেনে ৪১ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন। কোনও দেশেই নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে মত দেওয়া অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ৩২ শতাংশের বেশি ছিল না।

জরিপের প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী আরও বলেন, আমাদের জরিপে আরও দেখা যায় ইউরোপে মুসলিম অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জনমত বাড়ছে অবসরপ্রাপ্ত ও বয়স্কদের মধ্যে। তবে যাদের বয়স ৩০-এর কম তারা উল্লেখযোগ্য হারে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। শিক্ষাভেদেও জরিপের ফলে তারতম্য রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ মুসলিম অভিবাসীদের নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। ডিগ্রিধারীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসন কমিয়ে আনার পক্ষে।

অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে মুসলিম জনসংখ্যার সংখ্যাগত পার্থক্য থাকলেও মুসলিম অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জনমত বাড়ছে।

/এএ/