যুক্তরাজ্যে চালু হলো ‘জিহাদি কারাগার’

ভয়ংকর উগ্রপন্থী বন্দিদের কারাগারের বিশেষ সেল জিহাদি কারাগার- এ নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটির কারা ব্যবস্থায় উগ্রপন্থার বিকাশ ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

825261_1

উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের ডারহামের কাছে ফ্রাংকল্যান্ড এইচএম কারাগারে সর্বপ্রথম এ ধরনের বিশেষায়িত কেন্দ্র প্রথম গড়ে তোলা হয়েছে। এরপর আরও দুটি কেন্দ্র ইয়র্কের কাছে ফুল সাটন এবং ওয়ারচেস্টারশায়ারে লং লার্টিন কারাগারে আগামী মাসে চালু হবে। এই তিন কেন্দ্রে সবচেয়ে ভয়ংকর ২৮ জন বন্দিকে রাখা হবে।

যুক্তরাজ্যের কারামন্ত্রী স্যাম গিইমাহ বলেন, ‘যে কোনও ধরনের পন্থাকে পরাজিত করতে হবে, তা যেখানেই হোক না কেন। অন্য বন্দিদের মধ্যে উগ্রপন্থীদের প্রভাব বিস্তারের ঝুঁকি ঠেকাতে তাদের আলাদা রাখাই সঠিক।’

কারামন্ত্রী আরও বলেন, ‘কারাগারে উগ্রপন্থার বিকাশ ঠেকানোর কৌশলে এসব কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে কারাগার ও বৃহৎ অর্থে জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।’

এসব কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য যেসব বন্দিদের নির্বাচন করা হয়েছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনা এবং বিশেষভাবে যত্ন ও ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতি তিনমাসে তাদের অবস্থান পর্যালোচনা করা হবে।

যুক্তরাজ্যের বিচার মন্ত্রণালয় এসব কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য যেসব বন্দিদের নেওয়ার জন্য নির্বাচন করেছে তারা সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন অথবা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। যারা অন্যদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত বা যাদের উগ্রপন্থী আদর্শ কারাগারের পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার অবনতি করবে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তাদেরকেও এসব বিশেষায়িত কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।

জিহাদি কারাগার বলে পরিচিত এই সেলগুলো কারাগারের ভেতরে কারাগার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশের আটটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের রাখার নীতি থেকে সরে আসলো যুক্তরাজ্য। অ্যাকেসন প্রতিবেদনের পরামর্শে এসব কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। কারাগারে ইসলামি উগ্রপন্থার বিকাশ ঠেকাতে সাধারণ কয়েদির কাছ সরিয়ে পৃথক স্থানে উগ্রপন্থা হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

/এএ/