বাংলাদেশিদের যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে

যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

63cc7e79-cb8d-4c41-a0ad-2b0ba2331d83-2060x1236

দ্য ইউনিভার্সিটিজ অ্যান্ড কলেজ অ্যাডমিশন সার্ভিস (ইউসিএএস) নামের প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয়ভাবে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন সমন্বয় করে থাকে।  এ প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ২৯০টি আবেদন জমা পড়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এসব আবেদন করা হয়েছে।

২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে আবেদনের সংখ্যা ছিল ২৫০টি। অবশ্য গত বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের সংখ্যা কমে গিয়েছিল আগের তুলনায়। ২০১৫ সালে বাংলাদেশিদের আবেদনের সংখ্যা ছিল ৩৪০।

এ বছর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশিদের আবেদনের হার বেড়েছে ২ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে কমেছে ৪ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের শিক্ষা খাতে এটাকে ব্রেক্সিটের প্রভাব বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর দেশগুলো থেকে কমেছে ৫ শতাংশ।

ইউসিএএস-এর পর্যালোচনা ও গবেষণা পরিচালক ড. মার্ক কর্ভার জানান, এবার মোট আবেদনের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭০০টি। যা গত বছরের চেয়ে ২৫ হাজার কম। শতকরা হিসেবে কমেছে ৪ শতাংশ। কমেছে ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও ইইউ থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা।

ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন রাসেল গ্রুপ-এর পলিসি বিভাগের প্রধান সারাহ স্টিভান্স জানান, ইইউ বহির্ভূত দেশগুলো থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধির ঘটনাটি ইতিবাচক। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নিয়ে আসে আমাদের ক্যাম্পাসগুলোতে। যা থেকে আমাদের সব শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়। এসব বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ২৫.৮ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের অবদান রাখে।

ইউসিএএস-র তথ্যে উদ্বেগের আরেকটি পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। নার্সিং কোর্সে আবেদনের সংখ্যা কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ড থেকে এ কোর্সে আবেদন কমে গেছে। সার্বিকভাবে আবেদনের হার কমেছে ১৯ শতাংশ।

/এএ/