ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ দলের চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

দ্রুত ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র ওপর তার নিজ দলের ভেতর থেকে চাপ বাড়ছে। ৬০ জন কনজারভেটিভ এমপি দ্রুত ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পর যুক্তরাজ্যের আইন পরিবর্তন করতে যেন ইইউ-এর অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকে তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। 

brexit

২০১৯ সালের মে মাসের মধ্যে যদি সব চুক্তি চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়ে যায় কেবল তখনই ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ প্রস্তাব সমর্থনের কথা জানিয়েছেন এই এমপিরা।

ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন চূড়ান্ত করতে থেরেসা মে-র সরকারের হাতে আট মাস সময় আছে। থেরেসা মে নিজে চান ২০১৯ সালের মার্চের ২৯ তারিখের মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে। কিন্তু তার দলের ভেতরেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন নিয়ে মতভিন্নতা আছে। এদের একটি অংশ বেশকিছু বিষয়ে অনড় থাকতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

৬২ জন এমপি’র স্বাক্ষরিত চিঠিটিতে বলা হয়েছে, ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর স্বাধীনভাবে যুক্তরাজ্যের আইন প্রণয়ন করতে ও ‘অন্তর্বর্তীকালীন সময়’ নির্ধারণের ক্ষেত্রে  যেন কোনও শর্ত যেন গ্রহণ করা না হয়।

দলের সাবেক প্রধান আয়ান ডানকান স্মিথ এবং উন্নয়ন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলসহ অন্যদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘ইইউ ত্যাগের পর আপনার সরকার যেন প্রয়োজন মতো ব্রিটিশ আইন পরিবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ করতে রাখতে পারে। বাইরের কারও করে দেওয়া আইন মেনে নিতে যেন ব্রিটেনকে বাধ্য হতে না হয়। নিজেদের দেশের আইন পরিবর্তন করতে ইইউ-এর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা গ্রহণযোগ্য হবে না।’

এমপিরা বলেন, ইইউ ত্যাগে ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ প্রস্তাব তারা মেনে নেবেন যদি ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত সব চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যায়।

গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস বলেন, তিনি এমন একটি ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে চান যাতে উভয় পক্ষের আইনকানুন একই ফলাফল দেয়। কিন্তু সেই ফলাফল নিশ্চিত করতে যেন উভয় পক্ষ যার যার মতো করে আইন পাস করতে পারে।

উল্লেখ্য, ইইউ বারবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র কাছে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য তার প্রত্যাশার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন শর্ত, চুক্তি, সময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজ দলের মতবিরোধের কারণে থেরেসা মে তা প্রকাশ্যে জানাতে পারছেন না।