ব্রিটেনে মুসলমানরা মিডিয়ার নেতিবাচক কাভারেজের শিকার: এমসিবি

ব্রিটেনে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী বৃহত্তম একটি গোষ্ঠী দাবি করেছে, মুসলিম ইস্যু নিয়ে যুক্তরাজ্যের মিডিয়ার কাভারেজ বেশিরভাগই নেতিবাচক। ইসলামবিদ্বেষে যাতে করে এসব প্রতিবেদন ভূমিকা না রাখতে পারে সেজন্য পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

123

২০১৮ সালের শেষ তিন মাসের দশ সহস্রাধিক প্রতিবেদন ও সম্প্রচারিত খবর পর্যালোচনা করেছে মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন (এমসিবি)। পর্যালোচনার উপসংহারে তারা দাবি করেছে, যেভাবে ইসলাম ও মুসলমানদের তুলে ধরা হয়েছে তাতে গুরুতর সমস্যা রয়েছে। এমসিবির নতুন গঠিত সেন্টার ফর মিডিয়া মনিটরিং (সিএফএমএম) তাদের প্রথম পর্যালোচনার অংশ হিসেবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। একই সঙ্গে তারা তথ্য যাচাই ও সম্পাদনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার প্রচারণায় নেমেছে।

এমসিবির মিকদাদ ভারসি বলেন, ইসলাম ও মুসলমানদের যেভাবে মিডিয়ায় তুলে ধরা হচ্ছে, ইসলাম বিদ্বেষ তৈরিতে এর ভূমিকা রয়েছে। আমাদের উদ্যোগ সেন্সরশিপের জন্য না, স্বচ্ছতার জন্য।

সিএফএমএম’র পরিচালক রিজওয়ানা হামিদ বলেন, ব্রিটিশ মিডিয়ার একাংশের মধ্যে ইসলামবিদ্বেষের বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। এমনকি জনগণের মধ্যে ৫৮ শতাংশ ইসলামবিদ্বেষের জন্য মিডিয়াকেই দায়ী করেন।

তিনি আরও বলেন, এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। আমাদের লক্ষ্য হলো নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপে দায়িত্বশীল খবর প্রকাশে ভূমিকা রাখা।

প্রতিবেদন অনুসারে, ৫৯ শতাংশ খবর ছিল নেতিবাচক, ডানপন্থী ও ধর্মীয় প্রকাশনার ৩৭ শতাংশ ছিল পক্ষপাতমূলক ও বেশি নেতিবাচক। এক-তৃতীয়াংশ খবরে ভুলভাবে বা সর্বজনীন করা হয়েছে এবং তা সন্ত্রাসবাদকে প্রতিপাদ্য করে করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ব্রিটেনের আঞ্চলিক কাভারেজ জাতীয় কাভারেজের চেয়ে উল্লেখযোগ্য বেশি সহায়ক ছিল। আর ছাপা মাধ্যমের চেয়ে টেলিভিশন ছিল নিরপেক্ষ।

প্রতিবেদনটিতে বিবিসি’র জনপ্রিয় নাটক দ্য বডিগার্ডে হিজাব পরিহিত নারীকে তুলে ধরার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।