অর্ধেক ব্রিটিশ চিকিৎসক নিজেরাই পিপিই সংগ্রহ করেছেন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত প্রায় অর্ধেক ব্রিটিশ চিকিৎসককে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) নিজেকেই কিনতে হয়েছে অথবা অন্যের দানের উপর নির্ভর করতে হয়েছে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার (এনএইচএস) চ্যানেলে পিপিই না পাওয়ায় তারা এটি করতে বাধ্য হয়েছেন। সম্প্রতি দ্য ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছেন।

5448

বিএমএ জানায়, পিপিই সরবরাহ বাড়লেও ১৬ হাজারের বেশি চিকিৎসকের দেওয়া তথ্যে স্বাস্থ্য সেবার সম্মুখে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় এখনও অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। সংস্থাটির মতে, করোনা সংকটের সময় এনএইচএস কর্মীদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় জরিপ।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (৩০ শতাংশ) চিকিৎসক জানিয়েছেন, পিপিই, কর্মী স্বল্পতা, ওষুধ ও পরীক্ষা কিটের স্বল্পতার বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের কাছে জানাননি। কারণ তারা মনে করেন, জানালেও কিছু হবে না।

দুই-তৃতীয়াংশ জানিয়েছেন, করোনার চিকিৎসার সময় তারা আংশিক বা একেবারে সুরক্ষিত না থাকার বিষয়টি অনুভব করেছেন। ৪৮ শতাংশ চিকিৎসক জানান, তারা নিজেরাই পিপিই কিনেছেন বা বিভাগ সরবরাহ করেছে অথবা কোনও দাতব্য সংস্থার দানে পেয়েছেন কিংবা স্থানীয় কোনও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিএমএ কাউন্সিল চেয়ার ড. চাঁদ নাগপাল জানান, পিপিই নিয়ে জরিপের ফলাফল স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিফলন। কারণ দেশজুড়ে যে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা তা তারা পায়নি।

সংস্থাটি জানায়, ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পরিচালিত এই জরিপে অংশ নেন ১৬ হাজার ৩৪৩ জন চিকিৎসক।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটে সংবাদ সম্মেলনে বরিস জনসন স্বীকার করেছেন, পিপিই সরবরাহ করতে সরকার কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা কঠোর পরিশ্রম করছেন ঘাটতি মেটানোর জন্য।