যুক্তরাজ্যে বর্ণবাদ ঠেকাতে কমিশন গঠনের ঘোষণা জনসনের

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সবধরনের বর্ণ বৈষম্য খতিয়ে দেখতে কমিশন গঠণের ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটেনজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে তিনি এ কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লেখা এক প্রবন্ধে জনসন বলেন, বর্ণবৈষম্য ঠেকাতে আমাদের অনেক কিছু করা প্রয়োজন। যদিও এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

 

jhonson
গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে মিনিয়াপলিসে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র থেকে
তীব্রতর হয়ে ওঠে। এমনকি এ বিক্ষোভ ব্রিটেনসহ বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটেনে বর্ণবাদবিরোধী ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার গ্রুপের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার লন্ডনে বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে অতি ডানপন্থী গ্রুপের সদস্যদের রাস্তায় নামতে দেখা গেছে।
জনসন বলেন, বেকারত্ব, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ জীবনের সবক্ষেত্রে সবধরণের বৈষম্য খতিয়ে দেখতে এখনই সময় আন্তঃসরকারি কমিশন গঠনের। তিনি আরও বলেন, প্রতীকি নয় আমাদের দরকার সমস্যার মূলে পরিবর্তন করা।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা নির্দিষ্ট কয়েকজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের মূর্তি সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ এসব ব্যক্তিত্ব বর্ণবাদী ছিলেন বলে তারা মনে করছেন।
এ প্রসঙ্গে জনসন জোর দিয়ে বলেন, ওয়েস্টমিনিস্টারে পার্লামেন্টের সামনে থাকা যুদ্ধকালীন নেতা উইন্সটন চার্চিলের ব্রোঞ্জমূর্তি সেখানেই থাকবে।
উল্লেখ্য, চার্চিলকে অনেক অ্যাক্টিভিস্টই বর্ণবাদী বলে দাবি করছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীত পুর্নলিখনের দায়িত্ব না নিয়ে আমাদের বর্তমানকে শোধরানো দরকার। কারণ জনগণের দৃষ্টিতে বিখ্যাত এসব ঐতিহাসিক চরিত্র যথেষ্ট খাঁটি কিংবা রাজনৈতিকভাবে সঠিক ছিলেন কিনা এ বিতর্ক কখনও শেষ হবে না।
জনসন আরও বলেন, মূর্তি সরিয়ে ফেলার পরিবর্তে বর্তমান প্রজন্ম দ্বারা আরও লোক গড়ে তোলা দরকার যারা স্মরণীয় হিসেবে বিবেচিত হবেন।