ব্রিটেনের ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের’ তালিকায় পাকিস্তান

বিশ্বের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় পাকিস্তানকে অন্তর্ভূক্ত করেছে ব্রিটেন। অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে এই তালিকায় রাখা রয়েছে ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানসহ মোট ২১টি দেশ রয়েছে তালিকায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এখবর জানিয়েছে।

সন্ত্রাসবাদে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে পাকিস্তান। এবার ব্রিটেনও দেশটিকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ফলে সংকট আরও বাড়লো।

ব্রিটেনের ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’-এর এই তালিকায় পাকিস্তান ছাড়াও রয়েছে আলবেনিয়া, বার্বাডোজ, বতসোয়ানা, বুরখিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কেম্যান আইল্যান্ডস, উত্তর কোরিয়া, ঘানা, ইরান, জ্যামাইকা, মৌরিতাস, মরক্কো, মিয়ানমার, নিকারাগুয়া, পানামা, সেনেগাল, সিরিয়া, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে ও ইয়েমেন।

ব্রিটিশ সরকারের মতে, দুর্বল কর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত ও অর্থপাচারে নজরদারির অভাবের কারণে এই শ্রেণির দেশগুলো হুমকি হিসেবে বিরাজ করছে।

ব্রিটেনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন (সংশোধন) (উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো) আইন ২০২১ ব্রেক্সিট পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্রেক্সিটের আগে এই তালিকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রণয়ন করত।

২০১৮ সালের জুন মাসে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয় ইমরান খানের দেশকে। সেই সঙ্গে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৯ সালের মধ্যে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে অ্যাকশন প্ল্যানগুলো মেনে চলতে। পরে করোনা পরিস্থিতিতে এই ডেডলাইন পরে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ইমরান প্রশাসন মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছে ওই তালিকার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার। কিন্তু প্যারিসভিত্তিক এফএটিএফ একাধিক বৈঠকের পরও ধূসর তালিকামুক্ত হতে পারেনি ইসলামাবাদ।

পাকিস্তান ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা ও নিন্দা জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরীর দাবি, কোনও উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেন তিনি। মুখপাত্র বলেছেন, আশা করব তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে সরে এসে এই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করবে ব্রিটেন।