বর্ণবাদী অবমাননার শিকার ইংল্যান্ড দলের কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়রা

ইউরো ২০২০-এর ফাইনালে ইতালির কাছে পরাজয়ের পর ইংল্যান্ড ফুটবল দলের কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়রা অনলাইনে বর্ণবাদী অবমাননার শিকার হয়েছেন। এসব বর্ণবাদী অবমাননার নিন্দা জানিয়েছেন দলটির ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগ্যাট থেকে শুরু রাজপরিবারের সদস্য ও রাজনীতিবিদরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

ইতালির বিরুদ্ধে পেনাল্টি শুট আউটে মার্কাস রাশফোর্ড (২৩), জ্যাডন সানচো (২১) ও বুকায়া সাকা (১৯) গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব বর্ণবাদী হয়রানির টার্গেটে পরিণত হন। ১-১ গোলে খেলা শেষ হওয়ার পর খেলাটি পেনাল্টিতে গড়ায়।

বর্ণবাদী আপত্তিকর মন্তব্যের ঘটনায় পুলিশ একটি তদন্ত শুরু করেছে এবং দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। যদিও অনেক সমালোচক এমন ঘটনার জন্য কয়েকজন মন্ত্রীর ভণ্ডামিকে দায়ী করছেন। কারণ টুর্নামেন্টে চলাকালে খেলোয়াড় বড় ধরনের একটি বর্ণবাদবিরোধী অবস্থানকে তারা সমর্থন জানাননি।

ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কয়েকজনের জন্য এগুলো ভুলে যাওয়ার মতো না। কিছু কিছু মন্তব্য বিদেশ থেকে করা হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কয়েকটি এই দেশ থেকেই করা হয়েছে।

বর্ণবাদবিরোধী অবস্থানের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল দল। অনেক খেলোয়াড় বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়েও প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন বর্ণের লোকজন নিয়ে গড়া দলটিকে আধুনিক ব্রিটেনের আরও বেশি বৈচিত্রের প্রতিফলন হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের পর মার্কিন ফুটবলার কলিন কায়েপারনিককে অনুসরণ করে প্রত্যেক ম্যাচের আগে হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদ ইস্যুকে তুলে ধরেছেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। বর্ণবাদ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংহতির প্রদর্শন হিসেবে তারা এটি করতেন।

তবে কিছু সমর্থক এমন অবস্থানের সময় অবজ্ঞাসূচক চিৎকার করেছেন। কয়েকজন সমালোচকও এই ঘটনাকে খেলাকে রাজনীতিকরণ ও চরম বাম রাজনীতির প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ বলে উল্লেখ করেছেন।