যেভাবে বেছে নেওয়া হবে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

দলীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পদত্যাগ ঘোষণার ভাষণে তিনি বলেছেন, 'নতুন নেতা বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার সময় এখন'। তিনি আরও বলেছেন, নতুন নেতা বেছে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। তার এই ঘোষণার পর নতুন ব্রিটিশ নেতা খোঁজার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে কীভাবে জনসনের উত্তরসূরী খোঁজা হবে।

-দলীয় প্রধান হতে প্রার্থীতা ঘোষণা করবেন একাধিক নেতা। প্রত্যেক প্রার্থী দুজন কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা দ্বারা মনোনীত হতে হবে।

-এরপর কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতারা একাধিক পর্বের ভোট আয়োজন করবেন। প্রতিটি পর্বে গোপন ব্যালটে তাদের পছন্দের প্রার্থীর কথা জানতে চাওয়া হবে। সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী লড়াই থেকে ছিটকে পড়বেন।

-দুজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকার আগ পর্যন্ত এই ভোট প্রক্রিয়া চলবে। 

-এরপর চূড়ান্ত দুই প্রার্থীকে নিয়ে পোস্টাল ব্যালট ছাপা হবে দলের সদস্যদের জন্য। এতে জয়ী প্রার্থী হবেন দলের নতুন নেতা।

-হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাই ডি ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী। দায়িত্ব চালিয়ে যেতে আগাম নির্বাচন আয়োজনের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। কিন্তু চাইলে তিনি তা করতে পারেন।

কত দিন লাগতে পারে?

কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচনে সময়ের ব্যাপ্তি ভিন্ন হয়। এটি নির্ভর করে কতজন নেতা প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন। ২০১৬ সালে ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের তিন সপ্তাহেরও কম সময়ে নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন থেরেসা মে।

২০১৯ সালে দলীয় নেতা হতে জনসনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। থেরেসা মে পদত্যাগের দুই মাস পর ক্ষমতায় আসেন জনসন।