যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় এবার পুতিনের পাঁচ ঘনিষ্ঠ মিত্র

ওবামা ও পুতিনরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ মিত্রের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন। এরমধ্যে এক জ্যেষ্ঠ কেন্দ্রীয় তদন্ত কর্মকর্তা এবং ২০০৬ সালে সাবেক রুশ গুপ্তচর আলেক্সান্ডার লিটভিনেনকোর সন্দেহভাজন দুই হত্যাকারীও রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা খবরটি জানিয়েছে।

আলজাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় পাঁচ রুশ নাগরিক রয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে লিটভিনেনকোর হত্যাকারী বলে সন্দেহ করা হয়। তারা হলেন আন্দ্রেই লুগোভোই এবং দিমিত্রি কভতুন। ম্যাগনিৎস্কি আইনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ম্যাগনিৎস্কি হলো যুক্তরাষ্ট্রের এমন এক আইন যার আওতায় রাশিয়ার মানবাধিকারবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ঘোষণা করা হয়।

এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা রুশ নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সকল সম্পত্তি জব্দ করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ তাদের জন্য নিষিদ্ধ। অবশ্য, নতুন করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা রুশ নাগরিকদের বিরুদ্ধে কিসের অভিযোগ আনা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ব্যাপক গবেষণার পর এ নামগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, একটি হোটেলে গ্রিন টি পানের তিন সপ্তাহের মাথায় ২০০৬ সালের ২৩ নভেম্বর লন্ডনের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আলেকজান্ডার লিটভিনেনকো। ধারণা করা হয় ওই গ্রিন টি’র মাধ্যমে তার শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল।

মৃত্যুর আগে ১০ বছর ব্রিটেনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন আলেকজান্ডার লিটভিনেনকো। দেশটিতে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন।

লিটভিনেনকো’র শরীরে পোলোনিয়াম-২০ নামের তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। এই খুনের সন্দেহভাজন ছিলেন দুই রুশ গোয়েন্দা আন্দ্রেই লুগোভোই এবং কোভতুন। ব্রিটেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার কাছে ওই দুই সন্দেহভাজনের হস্তান্তর দাবি করা হয়েছিল। তবে ওই দাবি নাকচ করে দিয়ে রাশিয়া জানিয়েছিল, এটা রুশ সংবিধানের পরিপন্থী।

/এফইউ/