ঘটনাটি ঘটেছে ৭ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন মোহাম্মদ আলীর প্রথম স্ত্রী খালিলাহ কামাচো আলী ও ছেলে মোহাম্মদ আলী জুনিয়রকে ফ্লোরিডার ফোর্ড লডারডেল-হলিউড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেনস্তার মুখে পড়েন। মুসলিম ও আরবি ঘরানার নামের কারণেই বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের চোখে তারা সন্দেহভাজন হয়ে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, বিমানবন্দরের কর্মকর্তা তাদেরকে সন্দেহ করে কয়েক ঘণ্টা আটক রাখেন। এ সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। কর্মকর্তারা বারবার তাদের ধর্মীয় পরিচয় জানতে চান।
আলী পরিবারের বন্ধু ও আইনজীবী ক্রিস মানসিনি জানান, জ্যামাইকায় একটি অনুষ্ঠান শেষে মোহাম্মদ আলী জুনিয়র ও তার মা ওই বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় তাদের নাম আরবি ভাষার লক্ষ্য করেন অভিবাসন কর্মকর্তারা। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে অন্য যাত্রীদের থেকে আলাদা করে ফেলা হয়।
মানসিনি আরও জানান, মোহাম্মদ আলী জুনিয়র ও তার মাকে আটক করার পর কামাচো-আলী অভিবাসন কর্মকর্তাদের একটি ছবি দেখান। তাতে রয়েছেন প্রয়াত স্বামী মোহাম্মদ আলী ও কামাচো-আলীর ছবি। তা দেখে অভিবাসন কর্মকর্তারা কামাচো-আলীকে ছেড়ে দেন। কিন্তু ছেলে মোহাম্মদ আলীকে আটকে রাখা হয় দুই ঘন্টা।
আলী পরিবারের আইনজীবী জানান, এ সময় বার বার তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কোথা থেকে তুমি তোমার নাম পেয়েছো? তুমি কি একজন মুসলিম? এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলী জুনিয়র উত্তরে বলেন, হ্যাঁ আমি মুসলিম। তারপরও কর্মকর্তাকে তাকে আটকে রেখে তার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন। তার কাছে জানতে চান তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছেন।
মানসিনি জানিয়েছেন, আলী পরিবার এখন এ বিষয়ে একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সূত্র: মেট্রো ইউকে।
/এএ/