পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার লক্ষ্যস্থল মূলত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর একটি যুদ্ধক্ষেত্র।
এসডিএফ-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এমন ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য বিষয়টির তদন্তে জোটের সঙ্গে কাজ করছে তারা। বিবৃতিতে হামলায় হতাহতের বিষয়ে বলা হয়েছে, তাবকায় সামরিক অভিযানে একটি ভুলে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবারও মার্কিন জোট নিজেদের আরেকটি মিত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর ‘ভুল’ করে হামলা চালায়। ওই হামলার পর পেন্টাগন জানিয়েছিল, ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ্য করেই তারা সেখানে হামলা চালিয়েছিল।
আইএসের প্রধান ঘাঁটি রাক্কা শহর দখলের জন্য যুদ্ধ করছে মার্কিন সমর্থিত আসাদবিরোধী সিরীয় বিদ্রোহীদের সংগঠন এসডিএফ। ব্যাপক যুদ্ধের মাধ্যমে রাক্কার ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে তাবকা শহর আইএসের কাছ থেকে দখলের চেষ্টা করছে এসডিএফ।
এদিকে, সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিষাক্ত গ্যাসের মজুদে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিকসহ শতাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে সিরীয় সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সিরীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনা প্রমাণ করে যে, আইএস ও আল কায়েদা সমর্থিত জঙ্গিদের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে অন্য কোনও সূত্র থেকে সিরীয় সেনাবাহিনীর এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে পেন্টাগন এ ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করেছে। সূত্র: রয়টার্স।
/এএ/