প্রসিকিউটর কার্যালয় জানিয়েছে, গোপন সংবাদ পাওয়ার পর এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি পেতে পারেন এই চিকিৎসক।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৬ সাল থেকে মেয়েদের খৎনা দেওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যদিও তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে স্বেচ্ছায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. নাগারওয়ালা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, নাগারওয়ালা নৃশংস ও ভয়ংকর এ প্রক্রিয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের ওপর প্রয়োগ করেছেন।
ডেট্রয়ট ফেডারেল আদালতে হাজির হলে ডা. নাগারওয়ালাকে কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল ড্যানিয়েল লেমিস জানান, নারী ও মেয়েদের নৃশংসতা থেকে রক্ষা করতেই মেয়েদের খৎনা (ফিমেল জেনিটাল মিউটিলিয়েশন-এফজিএম) নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আধুনিক সমাজে এ চর্চার কোনও স্থান নেই। যারা এই চর্চা করবেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েদের খৎনা দেওয়ার প্রথম ঘটনা প্রকাশ পায় ২০০৬ সালে। ওই সময় এক ইথিওপিয়ান অভিবাসীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই অভিবাসী একটি কাঁচি দিয়ে দুই বছরের মেয়েকে খৎনা দিয়েছিলেন।
২০১২ সালে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল দেশটির প্রায় ৫ লাখ মেয়ে ও নারী এফজিএম-এর শিকার বা ঝুঁকিতে রয়েছেন। আর জাতিসংঘের মতে, বিশ্বের প্রায় ২০০ মিলিয়ন নারী ও মেয়ে এই খৎনার শিকার হয়েছে। এর অর্ধেক মিসর, ইথিওপিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। সূত্র: বিবিসি।
/এএ/