২০১২ সালে ভার্জিনিয়ার ৬২ বছরের নারী লইস স্লেম্প জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে রোগ নির্ণয়ে ধরা পড়ে। এরপর তিনি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বেবি পাউডার ও গোসলের বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কথা গোপন করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
তিন সপ্তাহ স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ১২ সদস্যের জুরি বোর্ড ১০ ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে এই রায় দেন।
এই রায়ের ফলে জনসনের টেলকম পাউডার আরও সংকটে পড়ল। এর আগেও একই ধরনের বেশ কয়েকটি মামলায় জরিমানার মুখে পড়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে তিনটি মামলায় ৭২, ৭০ ও ৫৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা গুনতে হয় কোম্পানিটিকে। এছাড়া দেশটির সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে।
স্লেম্প-এর আইনজীবী টেড মিয়াডোজ বলেন, মানুষকে তারা (জেঅ্যান্ডজে) মুনাফার হাতিয়ার বানাতে চায়। এ জন্য তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ভুয়া বৈজ্ঞানিক তথ্য হাজির করে এবং নজরদারী এড়িয়ে যায়।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি জানিয়েছে, জনসন বেবি পাউডার ব্যবহার যে নিরাপদ তার জন্য আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা নতুন করে বিচারের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সূত্র: ইউএসএ টুডে।
/এএ/