দায়িত্ব নিয়েই কোমিকে বরখাস্তের কথা ভেবেছিলেন ট্রাম্প

ট্রাম্প-কোমিমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্তের কথা বিবেচনা করছিলেন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক খবরে বিষয়টি জানা গেছে।

সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স নামের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, গত বছর বেশ কয়েকটি ভুল পদক্ষেপ নেওয়ায় কোমির ওপর আস্থা হারান ট্রাম্প।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল ফাঁসের তদন্ত পরিচালনা বিষয়ে কোমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ডেমোক্র্যাটরা দাবি করছেন, ট্রাম্পের রুশ সংযোগ নিয়ে তদন্তের কারণেই কোমিকে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন।

২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগে এফবিআই-র তদন্তে স্পেশাল প্রসিকিউটর নিয়োগের বিষয়টি নাকচ করেছেন সারাহ। তিনি বলেন, আমরা মনে করি না এটা প্রয়োজনীয়। এই কাজটি দ্রুত শেষ হোক তা আমাদের চেয়ে কেউ বেশি চায় না।

সারাহ দাবি করেছেন, কোমি দেশটির জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের মধ্যে চেইন অব কমান্ড ভেঙে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন কোমিকে মার্কিন সিনেটের ইন্টিলিজেন্স কমিটিতে স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। এর মধ্যে কোমিকে এফবিআই প্রধানের পদ থেকে বরখাস্তের ঘটনায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তবে ট্রাম্প নিজের সিদ্ধান্তের বুধবারও অটল ছিলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব ভালো কাজ করতে না পারায় বরখাস্ত করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রসেনস্টাইন কোমির বরখাস্তের সুপারিশ করেছেন। হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারির তদন্ত থেকে কোমি নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় তার অপসারণ চেয়েছেন অ্যাটর্নি ও ডেপুটি অ্যাটর্নি। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/