সভ্যতার চরম সর্বনাশ করেছেন ট্রাম্প, রুখতে হবে এখনই: নোম চমস্কি


বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং ও মনস্তত্ত্ববিদ জন জেনারের পর এ বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিশিষ্ট ভাষাতত্ত্ববিদ ও রাজনৈতিক দার্শনিক নোম চমস্কি। তিনি বলেছেন, মানবসভ্যতার চরম সর্বনাশ ঘটিয়েছেন ট্রাম্প। তাকে রুখতে হবে এখনই।

chomsky-trump

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নোম চমস্কি একথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন এমোরি ইউনিভার্সিটির দর্শনের অধ্যাপক জর্জ ইয়ানসি। ৫ জুলাই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।

ট্রাম্পের যেসব সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ হকিং ও জেনারকে উদ্বিগ্ন করেছিল, সেই একই কারণে চমস্কিও মনে করেন ট্রাম্প সত্যিকার অর্থেই মানবসভ্যতার শত্রু। চমস্কির মতে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প, তাতে করে আমেরিকাকে গোটা বিশ্বে একঘরে করে দিয়েছে।

সাক্ষাৎকারে চমস্কি বলেছেন, ‘মানবসভ্যতার অস্তিত্বকে গভীর সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার পদক্ষেপগুলোকে শুধু উপহাস করলেই হবে না, সেই পদক্ষেপগুলিকে আন্তরিকভাবে রুখে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে দিতে হবে, এখনই। জরুরি ভিত্তিতে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রিপাবলিকান পার্টি পরিচালিত মার্কিন প্রশাসনের পদক্ষেপগুলোকে মোকাবিলা করতে হবে, দ্রুত।’

চমস্কি জানিয়েছেন সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ, পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার বাড়ানোর ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রকাশ্য ইঙ্গিত। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সফল উৎক্ষেপণ করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘ওই পরীক্ষার পর আমরা ভয়ংকর রকমের কিছু একটা ভাবছি।’

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক যুদ্ধেরই হুমকি দিয়েছেন। চমস্কির মতে, ‘এটা মানবসভ্যতার সর্বনাশকে আরও বেশি ত্বরান্বিত করবে। কথাগুলো কঠোর হতে পারে, কিন্তু একটুও বাড়িয়ে বলছি না, জলবায়ু চুক্তি ছেড়ে আমেরিকার বেরিয়ে আসা আর উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি মানবসভ্যতার সুস্থভাবে টিঁকে থাকার সম্ভাবনাকে আরও বেশি করে নষ্ট করে দিয়েছে।’

অবশ্য হকিং বা জেনারের মতো শুধুই উদ্বেগ প্রকাশ করে থেমে যাননি রাজনৈতিক দার্শনিক চমস্কি। বলেছেন, ‘দ্রুত এই পদক্ষেপগুলিকে রুখতে হবে। আর সে জন্য সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ওয়াশিংটনের (মার্কিন ক্ষমতাকেন্দ্র) ওপর জোরালো, আরও জোরালো চাপ সৃষ্টি করতে হবে।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

/এএ/