আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তানে চলমান দীর্ঘ ১৭ বছরের যুদ্ধের অবসানের জন্য তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন সেনাদের এক সিনিয়র কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

da3235b75c0b494aa32e488520023bdb_18


গত কয়েকদিন ধরেই সম্ভাব্য শান্তি আলোচনার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছিল। এর মধ্যেই সোমবার জেনারেল জন নিকোলসনের এই মন্তব্য কূটনৈতিক পদপেক্ষ জোরালো হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর আগে গত মাসে অস্ত্রবিরতির সময় তালেবানরা কাবুলের রাস্তায় অস্ত্র ছাড়াই চলাফেরা করেছিল।

ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন সহযোগিতা মিশনের প্রধান জন নিকোলসন জানান, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখার কথা জানে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত এবং আন্তর্জাতিক শক্তির ভূমিকার বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
জেনারেল বলেন, আমরা আশাকরি তালেবানরা বিষয়টি অনুধাবন করবে এবং তা শান্তি প্রক্রিয়াকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।

আল জাজিরার পক্ষ থেকে আফগান তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তারা এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য জানাতে চায়নি।

কাতারে অবস্থিত তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক মুখপাত্র সোহাইল শাহিন জানান, তিনি এখনও নিকোলসনের মন্তব্যের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তবে তিনি নতুন এই প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পর আফগানিস্তানে তালেবানদের উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভিযান শুরু করে। এরমধ্য দিয়ে দেশটিতে এই দীর্ঘ সংঘাতের সূচনা হয়।

এদিকে রবিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ছয় মাসে আফগানিস্তানে ১ হাজার ৬৯২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের বেশিরভাগ ঘটেছে জঙ্গি হামলা ও আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনা এটাই সর্বোচ্চ। ২০০৯ সাল থেকে জাতিসংঘ বেসামরিক নিহতের ঘটনা লিপিবদ্ধ করা শুরু করে।