যুক্তরাষ্ট্রের সৎকার প্রতিষ্ঠান লুকিয়ে রেখেছিল ১১ শিশুর মরদেহ

যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটে অবস্থিত একটি সৎকার প্রতিষ্ঠানের ফলস সিলিং থেকে ১১ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সৎকার সংস্থাটি গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ। কিন্তু কেন ও কারা সৎকার না করে শিশুদের মৃতদেহ সেখানে লুকিয়ে রেখেছিল তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, একটি বেনামি চিঠি থেকে ওই শিশুদের মরদেহ লুকিয়ে রাখার ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। যদিও সিএনএন লিখেছে, নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করার সময় ওই মরদেহগুলো আবিষ্কার করে।181012224322-cantrell-funeral-home-detroit-exlarge-169

ডেট্রয়েট পুলিশের লেফটেন্যান্ট ব্রায়ান বাউজার জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মধ্যবর্তী স্থানে ছাদের নিচে থাকা ফলস সিলিংয়ের ওপর গলে যাওয়া মরদেহগুলো রাখা ছিল। পুলিশ সেখান থেকে সেগুলো উদ্ধার করেছে। পরীক্ষার পর দেখা গেছে, এসব শিশুদের মধ্যে কয়েক জন জন্মের আগেই মৃত্যুবরণ করেছে। শুক্রবার তল্লাসি চালিয়ে মৃতদেহগুলো আবিষ্কার করা হয়েছে যে সৎকার সংস্থা তার নাম ‘সেন্ট্রাল ফিউনারেল হোম।’

মোট ৯টি শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মরদেহের কয়েকটি কার্ডবোর্ডের বাক্সে রাখা ছিল। আর কয়েকটি ছিল ময়লা ফেলার ব্যাগে মোড়ানো। এসব শিশুদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছে পুলিশ। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাওয়ায় গত এপ্রিল মাস থেকে সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ। যেসব ত্রুটির কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে সেসবের মধ্যে সৎকার না করে মরদেহ ফেলে রাখার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা বাউজারের ভাষ্য, ‘শিশুদের মরদেহগুলো লিকিয়ে রাখা হয়েছিল। অবশ্যই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের কেউ না কেউ তথ্য জানে। ।’

এদিকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার এক বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেওয়া সাবেক ম্যানেজার ‘জামেকা লাজয়েস বুন’ বলেছেন, শিশুদের মরদেহ এভাবে ফেলে রাখার বিষয় জানতে পেরে তিনি বিস্মিত। তার ভাষ্য, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এটা কীভাবে সম্ভব হতে পারে তা নিয়ে আমার কোনও ধারণা নেই।’