সৌদি যুবরাজের সমালোচনায় বার্নি স্যান্ডার্সের টুইটার বার্তা

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচনায় টুইটারে বার্তা প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ‘স্বেচ্ছাচারী শাসকগোষ্ঠীটিকে’ জবাবদিহিতার আওতায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণের। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মিডিল ইস্ট মনিটর লিখেছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় বিপর্যস্ত ইয়েমেনের পরিস্থিতিকে স্যান্ডার্স ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়েছেন।s2.reutersmedia.net

 

সৌদি আরবের রাজা বাদশাহ সালমান হলেও যুবরাজের হাতেই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত ছিল। তার হস্তক্ষেপেই দেশটিতে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তেল নির্ভরতা থেকে সৌদি আরবের অর্থনীতিকে বের করে আনতে অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণের সূত্রে আলোচিত হয় তার নাম। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভাষ্যমতে, এই মোহাম্মদ বিন সালমানের সিদ্ধান্তেই তুরস্কে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।

অন্যদিকে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে চলছে যুদ্ধ। একদিকে যুদ্ধ ও অন্যদিকে ত্রাণ সরবরাহে থাকা বাধার কারণে মানবেতর অবস্থায় দিন কাটছে ইয়েমেনবাসীর। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা বোমা ব্যবহার করে যেসব হামলা সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী চালিয়েছে তাতে মারা গেছে শিশুসহ বহু বেসামরিক নাগরিক।

বার্নি স্যান্ডার্সের টুইটার বার্তার ভাষ্য, ‘সৌদি আরবের যুবরাজ মিহাম্মদ বিন সালমানকে প্রগতিশীল সংস্কারক আখ্যা দেওয়া হয়। কিন্তু তার তার ইতিহাস আটক, নির্যাতন এবং ভিন্নমত পোষণকারীকে হত্যার। এখনই সময় এই স্বৈরাচারী শাসকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ নেওয়ার।’

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের দমনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর তৎপরতায় দেশটিতে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তার সমালোচনা করে স্যান্ডার্স বলেছেন, সেখানে দেখা দিয়েছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়ের।’