ট্যাংক-যুদ্ধবিমান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ট্রাম্পের

সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৭০ বছরের মধ্যে প্রথমবার কোনও প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দিয়েছেন ট্রাম্প। তার এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন দেশটির বিরোধী রাজনীতিকরা। বিরোধীদের দাবি, এই ভাষণের মধ্য দিয়ে দেশটির স্বাধীনতার ঘোষণাকে রাজনীতিকরণ করেছেন ট্রাম্প।

skynews-fourth-of-july-salute-to-america_4710388

অতীতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা নিজেদের তুলে ধরেননি। এবারের উদ্যোগের ফলে  সমালোচকরা মনে করছেন, স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনকে ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচার অভিযানে পরিণত করেছেন।

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার দেশটির ২৪২তম স্বাধীনতাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। রাজধানী ওয়াশিংটনে হাজার হাজার লোক ন্যাশনাল মল বা জাতীয় ময়দানে সমবেত হন সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং আতশবাজির নানান রকম খেলা দেখার জন্য ।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আয়োজনের মধ্যে ছিল ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল আর্কাইভস ভবনের সিঁড়িতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ এবং জনগনের জন্য ভবনটির ভেতরে সংবিধান ও বিল অফ রাইটস প্রদর্শন করা হয়। এর পর শুরু হয় প্যারেড। হাজার হাজার মানুষ প্যারেড দেখতে সমবেত হয় ওয়াশিংটন ডিসিতে। কনস্টিটিউশন অ্যাভিনিউ তে ন্যাশনাল আর্কাইভস ভবনের সামনে থেকে হোয়াইট হাউসের সামনে দিয়ে ওই প্যারেড চলে জর্জ ওয়াশিংটন মনিউমেন্ট পর্যন্ত। পরে ক্যাপিটল ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত কনসার্টে অংশ নেবেন বিচ বয়েস ও ন্যাশেনাল সিমফনি অর্কস্ট্রা সহ অন্যান্য সব সঙ্গীত শিল্পী ও সঙ্গীত গোষ্ঠিরা। সব শেষে ঠিক সূর্যাস্তের পর অনুষ্ঠিত হয় আতশবাজির প্রদর্শনী।

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং মন্ত্রিসভার সদস্য ও শীর্ষ সামরিক নেতারা। মার্কিন সেনা ও জেনারেলদের শ্রদ্ধা জানানোর এই ভাষণের সময় উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

‘স্যালুট টু আমেরিকা’ নামের এই ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আজ আমরা এক ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত হয়েছি। আমেরিকাকে শ্রদ্ধা জানানোর এই বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে। আমাদের পতাকাকে রক্ষায় গর্বিত জনগণ ও নায়ক, বীর পুরুষ ও নারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ইতিহাস আমরা উদযাপন করছি।