এরদোয়ানের সঙ্গে ‘চমৎকার’ বৈঠক করেছেন ট্রাম্প

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে চমৎকার বৈঠকের পরও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চলমান বিরোধ নিরসনে ব্যর্থ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রুশ অস্ত্র কেনাকে উভয় দেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

5dccf3e9532f6

বুধবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প ও এরদোয়ান। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বৈঠকটি ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বৈঠকে সিরিয়ায় তুর্কি অভিযান, রুশ অস্ত্র কেনাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কোনও সমঝোতা হয়নি।

ট্রাম্প নিজেকে তুর্কি প্রেসিডেন্টের একজন বড় ভক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন তাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। তবে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উভয় নেতাই দুই দেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বিরোধ নিরসনের কোনও ব্যাখ্যা দেননি।

ট্রাম্প বলেছেন, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ রাশিয়ার আধুনিক সমরাস্ত্র কেনার বিষয়টি আমাদের সম্পর্কে গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আমরা প্রতিনিয়ত তা নিয়ে আলোচনা করছি। আজও তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আগামীতেও হবে। আশাকরি আমরা বিরোধ নিরসনে সক্ষম হব।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনের কয়েক মুহূর্ত পরে হোয়াইট পৃথক একটি বিবৃতি দিয়েছে। তবে এতে ট্রাম্পের মতো কোমল ভাষা ব্যবহার করা হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জনের জন্য তুরস্কের রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সুরাহা হওয়া জরুরি।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা ন্যাটো চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। এছাড়া এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি অগ্রাহ্য করে জুলাই মাসে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রথম চালান সংগ্রহ করেছে।

ট্রাম্প ও এরদোয়ান বলেছেন, ‘বিষয়টি সমাধানে তারা কাজ করবেন’। কিন্তু কীভাবে এই বিরোধ নিরসন হবে তা কোনও নেতাই বলেননি।

এরদোয়ান বলেছেন, সংলাপের মধ্য দিয়েই উভয় দেশের বিরোধ নিরসন করা সম্ভব হবে।