সৌধ ভাঙচুরকারীদের শাস্তি দিতে নির্বাহী আদেশ ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্মৃতিস্তম্ভ, সৌধ ও মূর্তি ইত্যাদি ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত বিক্ষোভকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। শুক্রবার তিনি এই আদেশে স্বাক্ষর করেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

_113120086_tv062059140

২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের নিরস্ত্র এক কৃষাঙ্গ যুবকের মৃত্যু হলে বিক্ষোভ শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। এরই এক পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্ণবাদ ও দাসপ্রথাকে সমর্থন দিয়েছেন এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মূর্তি ভাঙা কিংবা উপড়ে ফেলা এবং সৌধ ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে অনেক বিক্ষোভকারী।

নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প টুইটারে এক বার্তায় বলেন, মার্কিন সৌধ, স্মারক ও মূর্তি রক্ষায় এবং সাম্প্রতিক ফৌজদারী অপরাধ দমনে কঠোর নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এতে দীর্ঘমেয়াদে কারাদণ্ডের সাজার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারীরা কনফেডারেট জেনারেল আলর্বাট পাইকের মূর্তি উপড়ে ফেলে। এছাড়া হোয়াইট হাউসের কাছের একটি পার্ক থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের মূর্তি উপড়ানোরও ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।

এ প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনোই আমাদের রাস্তাগুলোর নিয়ন্ত্রণ, ইতিহাস পুর্নলিখন ও আমেরিকার জনগণের জীবনযাত্রার ক্ষতি হয় এমন কোনও সহিংসতার সুযোগ দেবেন না।