সৌদি যুবরাজই খাশোগি হত্যার অনুমোদনকারী: যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের সেই চাঞ্চল্যকর গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালে হত্যা করার অনুমোদন দেন সৌদি যু্বরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রকাশ করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাশোগিকে আটক কিংবা হত্যার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেন যুবরাজ। তবে ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিককে খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছেন যুবরাজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। তিনি সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন। শুরু থেকেই হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হচ্ছে। 

এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েক জন সৌদি নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও এর বাইরে থেকেছেন যুবরাজ। এবার মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সরাসরি অভিযুক্ত হলেও সৌদি আরব ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে একে ‘নেতিবাচিক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, খাশোগিকে হত্যা কিংবা আটক করতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান।’ সৌদি আরবের বর্তমান বাদশা সালমান বিন আবদুলআজিজ আল-সৌদ এর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৭ সাল থেকে দেশটির নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রেখে আসছেন। তাকেই দেশটির কার্যকর শাসক বলে মনে করা হয়।

উল্লেখ্য, গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বৃহস্পতিবার সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো তাদের প্রথম ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ফোনালাপে এই গোয়েন্দা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।