দুইটি শার্ট চুরি করে ২০ বছর জেল খাটলেন মার্কিনি

দুইটি শার্ট চুরি করায় ২০ বছর কারাগারে থাকার পর শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক। কারাবন্দিদের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করা সংগঠন ইনোসেন্স প্রজেক্ট নিউ অরলিন্স এর সফল প্রচারণার পর মুক্তি পেয়েছেন গাই ফ্রাঙ্ক নামের এই ৬৭ বছর বয়সী। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর ওই সময়ে তার অপরাধের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সাজা দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইনের খবর অনুযায়ী তার চুরির মূল্যমান পাঁচশ’ ডলারেরও কম।

নিজের অপরাধের জন্য গাই ফ্রাঙ্ককে ২৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর কারণ ছিলো তাকে কঠোর সাজা দিতে তার বিরুদ্ধে লুইজিয়ানার বিতর্কিত স্বভাবজাত অপরাধী আইন সক্রিয় করেন প্রসিকিউটররা। ব্যাপক মানুষকে দণ্ড দেওয়া এবং লুইজিয়ানায় বর্ণ বৈষম্য বাড়িয়ে তোলার জন্য এই আইনটির কঠোর সমালোচনা রয়েছে।

২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার হওয়ার আগেও ৩৬ বার গ্রেফতার এবং তিনবার গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত হয়েছিলেন গাই ফ্রাঙ্ক। সৌভাগ্যক্রমে ইনোসেন্স প্রজেক্ট নিউ অরলিন্স এই মামলায় যুক্ত হয়ে পড়ে আনজাস্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে আর ফ্রাঙ্কের মুক্তির জন্য প্রচার শুরু করে।

ইনোসেন্স প্রজেক্ট নিউ অরলিন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তার মামেলার মাধ্যমে দেখা গেছে কিভাবে দরিদ্র কৃ্ষ্ণাঙ্গ মানুষেরা নির্বিচারে এসব চরম সাজায় আক্রান্ত হয়েছে। এই অপরাধের জন্য একজন শ্বেতাঙ্গ মানুষ এই সাজা পাবেন তা কল্পনা করাও কঠিন।’ ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কোনও দিন কারো জন্য হুমকি না হয়ে উঠেও তিনি এই ভয়ঙ্কর সাজা পেয়েছেন।’

ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ওই মামলায় যুক্ত হওয়ার পর গ্রুপটি অরলিন্সের পারিশ ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জ্যাসন রজারস উইলিয়ামের কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মামলাটি পর্যালোচনার পর উইলিয়াম ফ্রাঙ্কের শেষ তিন বছরের দণ্ড কমিয়ে দেন।

মুক্তির আগেই গাই ফ্রাঙ্কের পরিবারের সহায়তার জন্য একটি তহবিল সংগ্রহের পাতা খোলা হয়েছে। কারাবাসের সময় তিনি তার স্ত্রী, পুত্র এবং দুই ভাইসহ অন্য আত্মীয়দের হারিয়েছেন ফ্রাঙ্ক।