২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ অর্ধেক কমানোর ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ অর্ধেক কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার নতুন এই লক্ষ্য নির্ধারণের মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসন আশা করছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণকারী অন্য বড় দেশগুলোও তাদের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে নেবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

চীনের পর যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কার্বন নিঃসরণ কমানোর বৈশ্বিক উদ্যোগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান। কিন্তু বাইডেনের প্রশাসন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আবারও বিশ্ব নেতৃত্বের আসন পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন। এই লক্ষে জলবায়ু বিষয়ক দুই দিনের ভার্চুয়াল সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছেন তিনি।

আর ওই সম্মেলন সামনে রেখে ২০০৫ সালে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করতো সেই মাত্রার পরিমাণ ২০৩০ সালেই অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ পরিণতি এড়াতে এই দশকেই আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে ‘গেম চেঞ্জিং’ আখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরনের মাত্রা ৪৬ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও ৪০-৫০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

২০৫০ সালের মধ্যে মার্কিন অর্থনীতিকে পুরোপুরি কার্বন মুক্ত করতে চান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ ভালো পারিশ্রমিকের কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলে দাবি করছেন তিনি। তবে রিপাবলিকানদের দাবি এই পরিকল্পনায় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

কোন কোন খাত থেকে কার্বন নিঃসরনের পরিমাণ কমানো হবে তা বাইডেনের ঘোষণায় না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন, গাড়ি নির্মাণ খাত এগিয়ে থাকবে। এই বছরের শেষ নাগাদ বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।