সত্যি হতে চলেছে ‘মানব সমাজের পতন’ নিয়ে এমআইটি’র ১৯৭২ সালের পূর্বাভাস!

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর ‘মানব সমাজের পতন’ নিয়ে ১৯৭২ সালের একটি পূর্বাভাস সত্যি হতে চলেছে। ওই সময় বলা হয়েছিল, আগামী দুই দশকে মানবসমাজ পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে। প্রায় অর্ধশতাব্দী পুরনো এই পূর্বাভাসটি এখন আবার আলোচনায় এসেছে নতুন একটি গবেষণার পর। ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এমআইটি’র পূর্বাভাস সত্যি হতে পারে।

একটি অ্যাংলো-ডাচ বহুদেশীয় পেশাদার সার্ভিস নেটওয়ার্ক কেপিএমজি ইন্টারন্যাশনালের গায়া হ্যারিংটন এই নতুন গবেষণাটি সম্পাদন করেছেন। তার মতে, তিনি গবেষণা চালিয়েছেন এমআইটি’র পূর্বাভাস প্রমাণ বা অস্বীকার করার জন্য। তিনি জনসংখ্যা, শিল্পোৎপাদন, প্রজননের হার, জনসংখ্যার মাত্রা ও খাদ্য উৎপাদন ইত্যাদিসহ ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ভ্যারিয়েবল নিয়ে গবেষণা করেন।

হেরিংটন উপসংহারে পৌঁছেছেন যে ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্ব সত্যিকার অর্থে ‘সর্বাত্মক সামাজিক পতন’ প্রত্যক্ষ করতে পারে। তার গবেষণার তথ্য এমআইটি’র পূর্বাভাসের নির্দিষ্ট দুটি মূল দৃশ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই দুটি হলো- প্রচলিত বাণিজ্য ও বিস্তৃত প্রযুক্তি।

হেরিংটনের প্রতিবেদনটি ইয়েল জার্নাল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রচলিত বাণিজ্য ও বিস্তৃত প্রযুক্তিতে এক দশকের মধ্যে বা এখন থেকে প্রবৃদ্ধি থেমে যেতে পারে। প্রচলিত উপায়ে বাণিজ্য পরিচালনা অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি চলমান রাখা সম্ভব নয়।

কেপিএমজি’র গবেষকের গবেষণাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিস্তৃতভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদমাধ্যমের মধ্যে রয়েছে ভাইস, দ্য ডেইলি মেইল ও লাইভসায়েন্স। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটেও গবেষণা প্রতিবেদনটি পাওয়া যাচ্ছে।

১৯৭২ সালের পূর্বাভাসে এমআইটি’র গবেষকরা ১২টি ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি অসম্ভব হতে পারে উল্লেখ করেছিলেন। প্রাকৃতিক সম্পদ খুব দুর্লভ হয়ে পড়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। এছাড়া ব্যক্তিগত কল্যাণ সাধনও হ্রাস পাবে। ওই বছরের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত বই দ্য লিমিটস টু এক্সপানসন-এ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল। এতে একপর্যায়ে আসন্ন ‘বিপর্যয়’ সম্পর্কে বলা হয়েছিল, পৃথিবীজুড়ে জীবনমানের অবনতি ঘটবে কয়েক দশক ধরে এবং একপর্যায়ে তা মানবজাতির ‘ইতি’ ঘটাবে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস