ইরাকে আইএসবিরোধী যুদ্ধ মিশনের ইতি টানলো যুক্তরাষ্ট্র

ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-বিরোধী যুদ্ধ মিশন সমাপ্তের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক জোট। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকের জয়ে ভূমিকা রাখার চার বছর পর এই ঘোষণা দেওয়া হলো। তবে জোটের আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন থাকবে এবং সরকারের আমন্ত্রণে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘উপদেশ ও সহযোগিতা’ দেবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

জোটের পক্ষ থেকে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করা হয়েছে যে ইরাকের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের ফলে আইএস পুনরুজ্জীবিত হবে না এবং ইরাকিদের জন্য হুমকি তৈরি করতে পারবে না।

এর আগে জুলাই মাসে এই বছরের শেষ দিকে ইরাক থেকে তাদের যুদ্ধ বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকে মার্কিন বিমান হামলায় গত বছর ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরান সমর্থিত শিয়া নেতা নিহতের পর দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি বড় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

ইরাকের বিদায়ী পার্লামেন্ট একটি নন-বাইন্ডিং প্রস্তাব পাস করে। যাতে আইএস হুমকির পরও ইরাক থেকে জোট সেনাদের প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।

ইরাকে জোটের ঘাঁটিতে রকেট, মর্টার ও ড্রোন হামলা চালানোর জন্য শিয়া মিলিশিয়াদের দায়ী করা হচ্ছে। বলা হয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্রকে দেশত্যাগে চাপ দিতে এসব হামলা চালাচ্ছে শিয়া মিলিশিয়ারা।

প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র ধ্বংস করতে ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ইরাক দখল করে। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তিন বছর পর বহুজাতিক জোটের অংশ হিসেবে ইরাকে ফিরে তারা। তখন দেশটির বিশাল অংশ দখল করে আইএস জঙ্গিরা।