স্বামী হত্যায় দোষী ‘হাউ টু মার্ডার ইওর হাজব্যান্ড’ প্রবন্ধের লেখক

যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড শহরের এক জুরি বোর্ড চার বছর আগে স্বামীকে গুলি করে হত্যার জন্য এক নারীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ওই নারী স্বপ্রকাশিত রোম্যান্স ঔপন্যাসিক ন্যান্সি ক্র্যাম্পটন ব্রফি (৭১), যিনি হাউ টু মার্ডার ইওর হাজব্যান্ড শিরোনামের একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন।

সাত নারী ও পাঁচ পুরুষ সদস্যের জুরি বোর্ড বুধবার রায়ে জানিয়েছে, ওই নারী স্বামী ড্যানিয়েল ব্রফিকে হত্যার জন্য দোষী।

ব্রফি (৬৩) ছিলেন পেশায় একজন শেফ। ২০১৮ সালের ২ জুন তিনি নিহত হন। ওরেগন কালিনারি ইন্সটিটিউটে কাজের প্রস্তুতির সময় তাতে হত্যা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর দৃশ্যমান কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি ন্যান্সি ক্র্যাম্পটন। তার এক আইনজীবী লিসা ম্যাক্সফিল্ড জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

প্রসিকিউটর জুরিদের বলেছেন, স্বামীকে হত্যার পেছনে ন্যান্সি ক্র্যাম্পটনের মোটিভ ছিল আর্থিক সমস্যা ও জীবন বিমা।

তবে তিনি দাবি করেছেন, স্বামীকে হত্যা করার কোনও কারণ তার ছিল না এবং তাদের আর্থিক সমস্যা সমাধান হয়েছিল ব্রফির অবসরের জন্য সঞ্চিত অর্থ আংশিক উত্তোলন করে।

ব্রফিকে হত্যায় যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তেমন একটি অস্ত্রের মালিক ন্যান্সি ক্র্যাম্পটন। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে কালিনারি ইন্সটিটিউটে প্রবেশ ও বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। ব্রফিকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র খুঁজে পায়নি পুলিশ।

প্রসিকিউটর অভিযোগ তুলেছেন, ক্র্যাম্পটন গুলিতে ব্যবহৃত অস্ত্রের ব্যারেল খুলে ফেলে দিয়েছেন। আর তার আইনজীবী দাবি করেছেন, অস্ত্রের অংশগুলো ক্র্যাম্পটন ব্রফির লেখার অনুপ্রেরণা ছিল এবং চুরির সময় অন্য কেউ হয়ত ব্রফিকে হত্যা করে থাকতে পারে।

সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ক্র্যাম্পটন ব্রফি বলেছেন, স্বামীর হত্যাকাণ্ডের দিন কালিনারি স্কুলের কাছে তার উপস্থিতি ছিল কাকতালীয়। নিজের লেখার কাজের জন্য তিনি ওই এলাকায় গাড়ি পার্কিং করেছিলেন।

তার লেখায় ধরা না পড়ে হত্যার বিভিন্ন উপায়ের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। সার্কিট জাজ ক্রিস্টোফার র‍্যামরাস বিচারে প্রবন্ধটিকে অন্তর্ভুক্ত করেননি। কারণ এটি ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়েছে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কাস্টডিতে রয়েছেন ক্র্যাম্পটন ব্রফি। ১৩ জুন তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে।