যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে বাতিল হচ্ছে করোনা টেস্ট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিমানযাত্রীদের বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাসের পরীক্ষার নেগেটিভ শনাক্ত হওয়ার নিয়ম বাতিল হতে যাচ্ছে। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই ঘোষণা দিতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) দেশটিতে প্রবেশকারীদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ শনাক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানযাত্রীদের জন্য রবিবার মধ্যরাত থেকে এটি কার্যকর হবে।

করোনাভাইরাস মহামারির বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের প্রায় সব দেশ বিমানবন্দরে কড়াকড়ি আরোপ করে। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য বিমানে উঠার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতা ছিল।

মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ভ্রমণ শিল্পের পক্ষ থেকে বিধি বাতিলের জন্য কয়েক মাস ধরে লবিং করা হচ্ছে। বিজ্ঞান ও তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিডিসি মনে করছে, এই নিয়ম বহাল রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম চালু রয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, তবে ৯০ দিন সিডিসি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। যদি নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের কারণে কর্তৃপক্ষ এটি পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিতে চান, তাহলে তা করতে পারবেন। 

ওই কর্মকর্তা জানান, মসৃণ পরিবর্তনের জন্য এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজের পরিকল্পনা করছে বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু এই খাতের বেশিরভাগই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাবেন।

কয়েক সপ্তাহ ধরে ভ্রমণ শিল্পের কর্মকর্তারা করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতার সমালোচনা করে আসছেন। তারা বাইডেন প্রশাসনের প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়েছে এটি বাতিলের জন্য। ভ্রমণ শিল্প এবং কয়েকজন বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, কয়েক মাস এই নিয়ম সেকেলে হয়ে গেছে। মার্কিন আইনপ্রণেতারাও কিছু দিন ধরে এটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

নেভাদার সিনেটর ক্যাথেরিন কর্টেজ মাস্তো বলেন, সিডিসি আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য করোনাভাইরাস টেস্টে বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করায় আমি খুশি। আমাদের সেবা খাতের দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য আমার সমর্থন জারি অব্যাহত রাখবো।

গত মাসে ভ্রমণ শিল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে টিকা নেওয়া আন্তর্জাতিক যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ শনাক্ত হওয়ার নিয়মটি প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়।

এয়ারলাইন্স অব আমেরিকা জানিয়েছে, তারা মনে করে এই বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহারের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বিদেশি ভ্রমণে আসবেন।