বাল্টিমোরে সেতু দুর্ঘটনা: বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ বিঘ্নের শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর শহরে জাহাজের ধাক্কায় ফ্রান্সিস স্কট কী সেতু বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই বিশ্বব্যাপী আমদানি ও রফতানিকারকদের মধ্যে এ আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

মেরিল্যান্ড পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাল্টিমোর বন্দরে নৌযান বা জাহাজ চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।

দ্য ইনস্টিটিউট অব এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের মহাপরিচালক মার্কো ফোরজিওন বলেছেন, এই স্থগিতাদেশ বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। 

ফ্রান্সিস স্কট কী সেতুটি নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার একটি ব্যস্ত সড়কে অবস্থিত। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৩১ হাজার গাড়ি বা বছরে ১১.৩ মিলিয়ন যানবাহন চলাচল করে।

রেডিও ফোরস দ্য ওয়ার্ল্ড টুনাইটকে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যস্ত এই বন্দর দিয়ে গত বছর সাড়ে সাত লাখেরও বেশি গাড়ি ও যানবাহন চলাচল করেছে।

এখন পূর্ব উপকূলের বন্দরটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল থেকে শুরু করে কয়লা ও চিনির মতো অন্যান্য পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার হুমকি রয়েছে।

এছাড়া বাল্টিমোর তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) একটি উল্লেখযোগ্য রফতানিকারক বন্দর। প্রতি মাসে অর্ধ মিলিয়ন টন এলএনজি বাল্টিমোর ছেড়ে যায়। বন্দরটি বন্ধ হলে যুক্তরাজ্য এবং ইইউ-ভুক্ত দেশগুলোতে প্রভাব পড়বে।

বন্দরটিতে সরাসরি কাজ করে অন্তত ১৫ হাজার কর্মী। আর পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে অন্তত এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ। বন্দরটির কার্যক্রম স্থগিত করায় কর্মসংস্থান ও জীবিকাতেও প্রভাব পড়বে। 

বাল্টিমোর দেশটির সর্বাধিক গাড়ি আমদানি এবং কয়লা রফতানির কাজে বহুল ব্যবহৃত একটি বন্দর। এটির কার্যক্রম বন্ধ করায় তাই গ্রাহকদের কয়লা রফতানি ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে রেল ও কয়লা কোম্পানি।

মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী  পিট বুটিগিগ জানিয়েছেন, বন্দরটি স্থগিতের দীর্ঘস্থায়ী ও বড় ধরনের প্রভাব পড়বে সরবরাহ ব্যবসায়। তবে এটি পুনরায় চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার মধ্য রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দালি নামক জাহাজটি সেতুর একটি পিলারকে ধাক্কা লাগে।