টিকটক কেনার মতো ধনবান লোক খুঁজে পেয়েছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির অভিযোগে নিষিদ্ধ হওয়া ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের জন্য ‘অত্যন্ত ধনী’ ক্রেতা খুঁজে পাওয়ার দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার (২৯ জুন) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তার কাছে ‘অত্যন্ত ধনী লোকদের একটি দল’ প্রস্তুত রয়েছে যারা এই প্ল্যাটফর্মটি কিনতে আগ্রহী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তবে কারা এই সোশ্যাল মিডিয়া কিনবেন তা  জানাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফক্স নিউজের সানডে মর্নিং ফিচার্স উইথ মারিয়া বার্টিরোমো অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প শুধু জানান, দুই সপ্তাহের মধ্যেই তিনি ক্রেতাদের নাম প্রকাশ করতে পারেন।

তিনি আরও জানান, টিকটকের বিক্রির প্রক্রিয়া নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে তাকে সম্ভবত 'চীনের অনুমোদন' নিতে হবে। তবে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং তাতে রাজি হবেন বলে আশা করছেন ট্রাম্প।

এই মাসেই ট্রাম্প তৃতীয়বারের মতো টিকটক বিক্রির আইন প্রয়োগের সময়সীমা পিছিয়ে দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়সীমা অনুযায়ী, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সকে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি বিক্রয় চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।

এই বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য টিকটকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিবিসি।

চীনের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে উত্তেজনা দেখা দিলে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে একটি বিক্রয় চুক্তি ভেস্তে যায়।

এখন ট্রাম্প যাদের ক্রেতা হিসেবে উল্লেখ করছেন তারা আগের সেই সম্ভাব্য ক্রেতা কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

টিকটকের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে এর চীনা মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রে প্ল্যাটফর্মটির মালিকানা কোনও নিরপেক্ষ পক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এই মর্মে কংগ্রেসে একটি আইনও পাস করে তারা। টিকটকের আপিলের পর মার্কিন সুপ্রিম কোর্টও এই আইন বহাল রাখে।

এ বছরের ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প শপথ নেওয়ার একদিন আগে মার্কিন ফেডারেল আইন অনুযায়ী টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। তবে রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প জানান, তিনি টিকটকের বিশেষ ভক্ত। তিনি ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন।

যদিও প্রেসিডেন্ট পদে আসার আগে টিকটক নিষিদ্ধ করার পক্ষেই ছিলেন ট্রাম্প। তবে তার উপদেষ্টারা তাকে জানান, ২০০ কোটি বৈশ্বিক ইউজারের ওই প্ল্যাটফর্মে প্রচারণা চালিয়ে তিনি ও তার দল গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের মন জয় করেছেন। এরপর নিজের অবস্থান বদলান ট্রাম্প।

বর্তমানে টিকটকের মার্কিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৭ কোটিরও বেশি, যাদের বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী।