মেডিনোভা ও পপুলারসহ ৪ প্রতিষ্ঠানকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা

জরিমানামেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক উপাদান দিয়ে রোগ নির্ণয় করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে চার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই চার প্রতিষ্ঠান হলো মেডিনোভা মেডিক্যাল সার্ভিসেস, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনিস্টিটিউট হাসপাতাল। এসময় এসব প্রতিষ্ঠানের ১১ জন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।
বুধবার র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরওয়ার আলম এই অভিযান পরিচালনা করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় পুরান ঢাকার মেডিনোভা মেডিক্যাল সার্ভিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক টেস্টের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ রি এজেন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে বলে দেখতে পায়। রোগ নির্ণয়ের রিপোর্ট কার্ড হিসাবে ব্যবহৃত বইয়ে ১৫টি পাতায় ব্ল্যাংক স্বাক্ষর করা অবস্থায় পাওয়া যায়। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নামে ভুয়া সিলও জব্দ করা হয়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারসহ তিন জনকে আটক করে র‌্যাব। একইসঙ্গে তাদেরকে ৮ লাখ টাকা এবং অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও রি-এজেন্ট ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারসহ তিনজনকে আটক এবং তাদের ছয় লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও একই অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির তিনজনকে আটকসহ চার লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে র‌্যাব।

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালেও ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট, নোংরা পরিবেশে ল্যাব পরিচালনা করা এবং অনুমোদন বিহীন ব্লাড ব্যাংক পরিচালনার অভিযোগে পাওয়া যায়। এসময় হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জসহ দুইজনকে আটক ও চার লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠাটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে ল্যাবের মান উন্নত ও ব্লাড ব্যাংকের অনুমোদন নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরে অভিযানে জব্দকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ধ্বংস করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মো. মাহবুব আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. মো. শাহজাহান এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপার মো.রাজিউর রহমান।

/জেএ/এনএস/