মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে জাতীয় পুষ্টি পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা এবং দশ বছর মেয়াদী নতুন জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘ধনী শ্রেণীর মানুষও সচেতনতার অভাবে সঠিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারছে না। এ কারণেই দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য শক্তিশালী ও কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।’
সভায় জাতীয় পুষ্টি পরিষদের জন্য পৃথক কার্যালয় নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে সারাদেশে পুষ্টিবিদ নিয়োগের উদ্যোগ নেবে সরকার। গ্রামের বিশেষ করে আর্থিক অসামর্থ্যের কারণে যে জনগোষ্ঠী পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে পাছে না, তাদের মধ্যে সঠিক পুষ্টি জ্ঞান তুলে ধরার ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা ভূমিকা রাখতে পারবেন।’
সভায় অন্যদের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বেসরকারি সহযোগী সংস্থার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ পরিচালনায় নীতিমালা সংক্রান্ত এক সভায় নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজ থেকে অন্যান্য বেসরকারি কলেজে মাইগ্রেশনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের অনুমতি প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়।
/জেএ/এমও/