মাঠ পর্যায়ে তৈরি হয়েছে ৩০০ দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী

স্বাস্থ্যকর্মী বিষয়ক কার্যক্রমের ফল ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিরাজিএসকে’র (গ্লাস্কোস্মিথক্লাইন) অর্থায়নে কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে সুনামগঞ্জ অঞ্চলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নকল্পে গড়ে তোলা হয়েছে ৩০০ দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী। জিএসকে ও কেয়ারের স্বাস্থ্যকর্মী বিষয়ক কার্যক্রমের ফল এবং পর্যবেক্ষণ নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি তাদের জরিপ অনুযায়ী মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে জানিয়েছে, গত তিন বছরে সুনামগঞ্জে মা ও শিশুর দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী অংশীদারদের সহায়তায় শিশু মৃত্যুর হার কমেছে অনেকাংশে। এছাড়া দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতি মাসে উপার্জন করেছে পাঁচ হাজার টাকা কিংবা তারও বেশি অর্থ।

অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিচালক (এমসিএইচ) ডা. মো. শরীফ জানান, দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের কৌশল কাজ করছে না। কিন্তু এ উদ্যোগ সুনামগঞ্জের মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি দৃষ্টান্ত হয়েছে, বিশেষ করে শিশু মৃত্যুর হার কমানোর পাশাপাশি দরিদ্রদের সেবা প্রদানে অসমতা কমিয়ে এনেছে এই পন্থা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রোগ্রামের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে এই প্রকল্প ৩০০ দক্ষ স্বাস্থ্য উদ্যোক্তা তৈরি করেছে যারা সবাই স্থানীয় এবং এই প্রকল্প শেষ করেও কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। উদ্যোগটি স্থানীয় সরকার এবং কমিউনিটি সার্পোট গ্রুপের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত।’

জিএসকে’র আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেবিড প্রিটচার্ড বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে শুরু হওয়া উদ্যোগটি এই দুর্গম অঞ্চলে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। আমার বিশ্বাস, সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে তাদের সঙ্গে বেসরকারি খাতের এ সমন্বয় একটি মডেল তৈরি করবে।’

এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জিএসকে’র কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান রুমানা আহমেদ বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের ২৯ লাখ মা, নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

/জেএ/জেএইচ/