হার্টের রিংয়ের মূল্য নির্ধারণে কমিটি

Banned-Drugs-Medicines-in-B20160612200436হার্টের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্টেন্ট বা রিংয়ের মূল্য নির্ধারণে ১৭ সদস্যের একটি কমিটি করেছে জাতীয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। হার্টের রিংয়ের মূল্য সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মে. জে. মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এখানে আরও ছিলেন অধিদফতরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, নায়ার সুলতানা, ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক সাবরিনা সুলতানা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অধিদফতরের কাছে এখন পর্যন্ত কার্ডিয়াক কেয়ার, মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেড, ভাসটেক লিমিটেড ও ওরিয়েন্ট এক্সপোর্ট কোম্পনি লিমিটেড স্টেন্টের দাম প্রস্তাব করেছে। তবে আরও যে ২১টি কোম্পানি ৪৭ ধরনের স্টেন্ট আমদানি করে তারা কোনও মূল্য প্রস্তাব করেনি। করোনারি স্টেন্টের মূল্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ না থাকা ও গায়ে মূল্য উল্লেখ না থাকায় আমদানি মূল্যের চেয়ে ৫-৬ গুণ বেশি রাখা হয় বাংলাদেশে।

অধিদফতরের পরিচালক জানান, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে আগামী দেড় থেকে দুই মাসের ভেতরে স্টেন্টের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। মূল্য নির্ধারিত হলে আমদানিকারক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সেই দামে স্টেন্ট বিক্রি করতে বাধ্য থাকবে।

মো. রুহুল আমিন আরও জানান, বাংলাদেশে বছরে বর্তমানে ১৮ হাজার করোনারি স্টেন্টের প্রয়োজন হয়, ভারতে এই সংখ্যা ১৩ লাখ। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে চূড়ান্ত দাম নির্ধারণের আগ পর্যন্ত সব সরকারি হাসপাতালে প্রস্তাবিত দামে স্টেন্ট বিক্রি করা হবে। তবে কেনার সময় অবশ্যই ক্রেতাকে দেখতে হবে স্টেন্টের প্যাকেটের গায়ে পণ্যের মূল্য এবং উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ রয়েছে কিনা। যদি এগুলো না থাকে তাহলে ওই স্টেন্ট কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।’

গত ১১ এপ্রিল করোনারি স্টেন্ট বা হার্টের রিংয়ের খুচরা মূল্য নির্ধারণে মতবিনিময় সভায় সব পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ওই সভায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মে. জে. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিচালক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সনাল ছাড়াও প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি ক্যাথল্যাবের প্রধান, কার্ডিয়াক সোসাইটির সভাপতি, বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ইন্টানভেনশন কার্ডিওলজিস্ট, আমদানিকারক সমিতির সভাপতি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

/জেএ/জেএইচ/