‘২০১৮ সাল নাগাদ ইপিআই কার্যক্রমে টিকার সংখ্যা হবে ১৩’

সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচি১৯৭৯ সালে মাত্র ৬টি টিকা দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয় সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যক্রম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন টিকা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে টিকার সংখ্যা হয় ১১ আর ২০১৮ সালে সেটি তের’তে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। রবিবার বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ ২০১৭ (২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল) উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় অধিদফতর।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৫ সালের জাতীয় জরিপের ফলাফল অনুযায়ী ইপিআই এর আওতায় ১ বছরের নিচের শিশুদের টিকা গ্রহণের হার ছিল প্রায় শতভাগ (৯৯ শতাংশ) যা কিনা ১৯৮৫ সালে ছিল মাত্র দুই শতাংশ। ২০০৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে দেশকে পোলিও মুক্ত করে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত সনদ অর্জন করে। ২০০৮ সালে মা ও নবজাতককে ধনুষ্টংকার দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে এবং টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ হয় নতুন নতুন টিকা।
এবারের টিকা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘টিকা শিশুর জীবন বাঁচায়।’ টিকা সপ্তাহের অংশ হিসেবে মাঠ কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাম ও রুবেলা টিকা থেকে বাদপড়া ও আংশিক বাদপড়া শিশুদের শনাক্ত করবে এবং তাদের নিয়মিত টিকাদান সেশনের মাধ্যমে টিকা দেবেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশে টিকাদানের মাধ্যমে শিশু মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধ করার জন্য বিশ্ব এই ইপিআই কর্মসূচি স্বীকৃত ও সমাদৃত।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইপিআই অ্যান্ড সার্ভিলেন্স প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক ডা. মো শামসুজ্জামান, অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো জাহাঙ্গীর আলম সরকারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা।

/জেএ/এমও/